আজকের মধ্যেই কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার কাজ শেষ করার অনুরোধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকিতে’ নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ঢাকাবাসীকে এই অনুরোধ জানান।

মেয়র বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে নিবেদন করছি, আপনারা আজকের মধ্যেই কোরবানি দেওয়া বা পশু জবাই শেষ করুন। আমাদের বিশাল জনবল নিরবচ্ছিন্নভাবে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে থাকে। তাদেরও ঈদ আছে, তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। আমরা তাদের একদিন ঈদের ছুটি দিতে চাই।’

ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, ‘নিতান্তই কেউ যদি আজকের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই শেষ করতে না পারেন, তাহলে দয়া করে আপনারা আগামীকাল নিজ দায়িত্বে পশুর বর্জ্য নির্ধারিত ব্যাগে ভরে আপনার নিকটবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসুন।’

মেয়র বলেন, ‘তিন দিন ধরে (২০ জুলাই রাত থেকে) আমাদের জনবল কাজ করছে, আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটানা কাজ করে চলেছে। বাস্তবতা হলো, আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা জনগণকে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সহযোগিতার আহ্বান জানাই। আমরা যে ব্যাগ সরবরাহ করেছি, দয়া করে তা সংগ্রহ করুন এবং সেই ব্যাগে ভরে আপনার পশুর বর্জ্য আমাদের বর্জ্য সংগ্রহকারীদের কাছে হস্তান্তর করুন। উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না।’ 

মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা অনেক জায়গায় চামড়া ফেলে যাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়াগুলো হয়তো তারা বিক্রি করতে পারেননি। আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ্য করছি—বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নর্দমার সামনে, নর্দমার মুখে তারা সেই চামড়াগুলো ফেলে গেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি বারবার নিবেদন করেছি, কোনোভাবেই যেন আমাদের নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ করা না হয়, এখানে বর্জ্য ফেলা না হয়। কারণ আমরা এখনো বর্ষাকালেই আছি। এই বর্জ্য দ্বারা কোনো নালা-নর্দমা যেন বন্ধ না হয়ে যায়।’

গতকালের পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘দুপুর ২টার মধ্যে গতকালের পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারিত হবে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনও প্রায় ৩০ শতাংশ কোরবানি দেওয়া হয়। আজকে যে সব পশু জবাই করা হবে, সেসব পশুর বর্জ্য আমরা আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত ১২টার মধ্যে অপসারণ করব।’

এ সময় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় আট হাজার টন কোরবানির পশুর ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান।মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।