আওয়ামী লীগ দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু করেছে : খন্দকার মোশাররফ
আওয়ামী লীগই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু করেছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। গত ১৪ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতা জোর করে দখলে রেখেছে। দেশে একটি হাইব্রিড সরকার ক্ষমতায়। আজকে দেশের সবক্ষেত্রে এই সরকার ব্যর্থ। কারণ, দেশে গণতন্ত্র নেই। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সেই গণতন্ত্র আজ ভুলুণ্ঠিত।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৭২-৭৫ সালেও ক্ষমতায় ছিল। সেসময় সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তারাই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। দেশে রক্ষীবাহিনী গঠন করে ২০ হাজার জাসদের নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। সে সময় প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র নেই, এটার ব্যাখ্যার দরকার নেই। আজকে তারাই বলে— আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্রেও সুবাতাস বয়ে যায়। তাহলে তাদের আমলে কীভাবে একদলীয় ভোট হয়। দিনের ভোট রাতে কীভাবে করেন? আর তারাই বলেন, ভোট-চোরদেরকে ভোট দেবেন না। আসলেই মানুষ কিন্তু ভোটচোরদের পছন্দ করেন না। এজন্যই বিএনপির দশটি বিভাগীয় গণসমাবেশে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
আগামী দিনে জাসাসের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে দেশের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য রক্ষায় ভূমিকা পালনসহ আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জাসাস নেতা লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে ও জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ওবায়দুর রহমান চন্দন, সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, জাসাসের জাহিদুল আলম হিটোসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।