অর্থ পাচার মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তিন মাসের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করে বিচারিক আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।

গোল্ডেন মনিরের পক্ষে শুনানি করেন আ্যডভোকেট কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছরের ১১ মে সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মনিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মনিরের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও বোনকেও আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মনিরের প্রায় ৩০টি প্লট, এক ডজনেরও বেশি ভবন ও দুটি গাড়ির শোরুম আছে। এর সবগুলোই তার অবৈধ উপার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে।

সিআইডি ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম জানান, মনির সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার সময় ১২৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭৯১ কোটি টাকারও বেশি টাকা জমা দেন। ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে এখন মাত্র ছয় কোটি ১৮ লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে।