‘অবুঝ’ কিশোরীকে ফেলে গেলেন সৎ মা, পুলিশ খুঁজছে পরিবারকে
ময়মনসিংহ থেকে সৎমায়ের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিল সাদিয়া আক্তার (১৩)। কিন্তু পথে সে ঘুমিয়ে যায়। ঘুমন্ত সাদিয়াকে বাসে রেখেই চলে যান সৎ মা। সে সময় সঙ্গে সাদিয়ার সৎ ভাই-বোনও ছিল। ঘটনাটি গত শনিবারের।
পরে সাদিয়াকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় বাসের চালক ও চালকের সহকারী। অসহায় ও ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ সাদিয়া ঘুরতে ঘুরতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গিয়ে পৌঁছে।
রাতে সাদিয়া যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে একা একা কাঁদছিল তখন আফসানা আক্তার নামের এক নারী তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। পরের দিন রোববার তিনি সাদিয়াকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
সোমবার ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম শিকদার কিশোরী সাদিয়া আক্তারকে ডিএমপির তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে আসেন। এখন সে সেখানেই আছে। ভাটারা থানা ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসআই নুর ইসলাম শিকদার বলেন, ‘সাদিয়ার বাবার নাম বলেছে মাসুদ। মায়ের নাম বলেছে ফাতেমা। তবে মা-বাবা আর কেউ বেঁচে নেই বলেও সাদিয়া জানিয়েছে। সে তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ বললেও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। মনে হচ্ছে, স্মৃতিভ্রমে ভুগছে সে। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ মনে হয় মেয়েটিকে। অন্য কোনো রোগও থাকতে পারে। ঠিক সুস্থ-স্বাভাবিক কিশোরীর মতো না সে।’
সাদিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, সে তার সৎমা ও সৎ ভাই-বোনের সঙ্গে ঢাকায় বেড়াতে এসেছিল। কিন্তু বাসের মধ্যে সে ঘুমিয়ে গেলে তাকে রেখে পরিবারের সবাই নেমে যায়। এর বাইরে আর কোনো তথ্য সে দিতে পারছে না বলে জানান এসআই।
নুর ইসলাম আরো বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে যদি পরিবারের কারো বা পরিচিত লোকের সন্ধান না মেলে তাহলে কিশোরীকে আদালতে মাধ্যমে সরকারের হেফাজতে দেওয়া হবে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে, সাদিয়ার পরিবার বা তার আত্মীয়স্বজেনর খোঁজ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে (০১৭৪৫-৭৭৪৪৮৭) বা এসআই নুর ইসলাম শিকদারের মুঠোফোনে (০১৭১৮৮৪২৯৩৩) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।