অন্ধ সমালোচনা গণতান্ত্রিক সমাজের সহায়ক নয় : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “অন্ধের মতো সমালোচনা বা ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’ সেই মনোবৃত্তি থেকে সমালোচনা কখনো সহায়ক নয়।”
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মাঝে করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পৃথিবীর কোনো দেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিল না উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে কম। ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কম। আমরা যদি সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারতাম, মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে অন্তত বেশি হতো।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের শুরুতে চট্টগ্রামে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানা সমস্যা ছিল। আমি তিনবার এসে এখানে সমন্বয় মিটিং করেছি। চট্টগ্রামের প্রশাসন ও সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরাও ছিলেন। পরিস্থিতি দু’মাস আগে যা ছিল তার চেয়ে এখন অনেক ভালো হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা না করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তথ্য সচিব দুই মামলাতেই আসামি। প্রথম মামলা করা হলো তথ্য মন্ত্রণালয় এটা করার অধিকার রাখে না। পরবর্তী সময়ে করা হলো পূর্বের মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এটা অগ্রবর্তী করা যাবে না। এটা ঘোষণা করাই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। পত্রিকার সম্পাদক-মালিক পক্ষ নবম ওয়েজ বোর্ডের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল সেভাবে আসেনি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।'
চাকরিজীবীকে শুধু চাকরিজীবী নয় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে বিভিন্ন মিডিয়ার মালিকপক্ষকে প্রথম থেকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলাম যাতে কোনো সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা না হয় এবং পাওনা যাতে পরিশোধ করা হয়। তা সত্ত্বেও যেখানে প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার উদাহরণ দিয়েছেন, সেখানে অনেক জায়গা থেকে অনেকে মানবিকতা দেখাতে পারেননি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের যুগ্ন মহাসচিব মহসিন কাজী প্রমুখ।