৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯ উপকূলীয় জেলাও আছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।
ওই ৯ উপকূলীয় জেলা হলো, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা। ওই জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ওই সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে ওই ৯ জেলাসহ চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্ণীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সংকেতের আওতায় থাকবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো।
৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার দেশের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও বরগুনাসহ উপকূলীয় জনপদে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য খুলনা নৌঘাঁটি তিতুমীরে পাঁচটি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।