৭ কোটি মানুষকে সহায়তা, কেউ কখনো ভাবেনি : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মানুষ সরকারের কাছে চায়নি, কোথাও যেতে হয়নি, একটাকা খরচ অথবা কোনো দেন-দরবার ছাড়া মানুষের মোবাইল ফোনে আড়াই হাজার করে টাকা চলে এসেছে। এটি কখনো কেউ ভাবেনি।'
দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষ নানাভাবে সরকারি সহায়তার আওতায় এসেছে, এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি- উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ঈদের আগে দুই দফায় টাকা দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন মসজিদে টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের পরিচালনায় সারা দেশে প্রায় এককোটি বিশ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আশেপাশের কোনো দেশে এইভাবে ত্রাণ তৎপরতা হয়েছে কি না, আমার জানা নেই।'
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ হলে করোনায় কর্মহীন খেলোয়াড়দের মাঝে সরকারি উপহারসামগ্রী বিতরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেটেখাওয়া মানুষের বাংলাদেশে করোনার কারণে আজ দুই মাসের বেশি প্রায় সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ। অনেকের অনেক শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৃহত্তম ও সুপরিকল্পিত ত্রাণ কার্যক্রমের কারণে দেশের একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।'
‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মাসের পর মাস বন্ধ রেখে কোনো দেশ টিকে থাকতে পারে না এবং সেকারণেই উন্নত দেশগুলোতে কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে, মানুষ কাজে ফিরেছে। আমাদেরও ধীরে ধীরে তা করতে হবে, তবে মনে রাখতে হবে, আমরা যেন জনসমাগম না করি, শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখি। কারণ, আমার সুরক্ষা আমার হাতে।'
করোনায় ছুটির শুরু থেকে ঈদ পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালীর আংশিক অঞ্চলে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সব খেটেখাওয়া মানুষকে ত্রাণ ও ঈদের আগে সব ইমাম, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত ও ভিক্ষুকে উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি- বেসরকারি মিলে এলাকার প্রায় ৬০ হাজার মানুষের পরিবারে ত্রাণ পৌঁছেছে। করোনা পরিস্থিতির উত্তরণ অবধি দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকায় এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।'
করোনাভাইরাসমুক্ত থাকতে শরীরচর্চাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং রাঙ্গুনিয়ার প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও খেলোয়াড়েরা মানুষকে সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করবে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনবি) মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আরজু সিকদার প্রমুখ সভায় অংশ নেন।