শিবচরে ‘লকডাউনের’ নবম দিন, কেমন চলছে
মাদারীপুরে নতুন করে ছয়জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে বলা হয়েছে। অপরদিকে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ থেকে মুক্ত করা হয়েছে ৪০ জনকে। বর্তমানে জেলায় ৪৭১ জন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রয়েছে। এ ছাড়া আইসোলেশনে রয়েছে একজন।
জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রয়েছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। যেখানে মানুষ ভিড় করছে সেখানেই পুলিশ গিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে।
রাস্তায় গাড়ি বা যানবাহন কম দেখা গেলেও স্বল্প আয়ের মানুষ ভ্যান বা অটোরিকশা নিয়ে কিছু আয় করার আশায় রাস্তায় চলাচল করছে। তবে রাস্তায় লোকজন না থাকায় বেশিরভাগ ভ্যান বা অটোরিকশার চালককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
সবচেয়ে বেশি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে মাদারীপুরের প্রবাসী অধ্যুষিত শিবচর উপজেলা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের প্রথম ‘লকডাউন’ ঘোষিত শিবচরের জনজীবন সীমিতকরণের নয় দিন পার হলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংক্রমিতের সংখ্যা একই রয়েছে। বেশ কিছু সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করলেও তা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।
এ এলাকার সর্বত্র এখনো পুলিশ পাহারায় রয়েছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকা মানুষ। তবে প্রশাসন দাবি করছে, কঠোর নির্দেশ থাকায় প্রবাসীরা স্বেচ্ছায় ‘হোম কোয়ারেন্টিনে মেনে চলছেন। নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া উপজেলার সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার শিবচরের ইতালি প্রবাসীর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আইসোলেশন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জেলায় ১০ জন করোনা রোগীর নয়জনই এ উপজেলার। এর মধ্যে আটজন একই পরিবারের। গত দুদিনে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করলেও তা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলায় এ পর্যন্ত দুই চিকিৎসক, ১৯ শিক্ষার্থীসহ ১৯৪ জন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে ৩৪ জন অবমুক্ত হয়। সম্প্রতি এ উপজেলায় ৬৮৪ জন বিদেশে থেকে দেশে ফিরেন।