‘রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেলে আপত্তি নেই’
ভাসানচরে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় গেলে এবং জাতিসংঘ আপত্তি না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও (ইইউ) কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ইইউসহ ইউরোপের ছয় রাষ্ট্রদূত। অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে কিংবা শরণার্থীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি।
মিয়ানমার থেকে ভয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কক্সবাজারের উখিয়াসহ বেশ কিছু এলাকাজুড়ে আশ্রয় নিয়ে আছে। এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুত করা হয় ওই চরটিকে।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন-ডিক্যাব আয়োজিত এক আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক জানান, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের কারিগরি কমিটির মূল্যায়নের আগে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে এ বিষয়ে আগাম মন্তব্য করবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় গেলে এবং জাতিসংঘ আপত্তি না করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও কোনো আপত্তি নেই। তবে জাতিসংঘের কারিগরি কমিটির মূল্যায়নের আগ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’
রেনসে তেরিঙ্ক বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে তাদের সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এক হওয়া উচিত। ‘তারা নিজ দেশে (মিয়ানমার) ফিরে যেতে চায়। আমাদের উচিত এতে সমর্থন দেওয়া।’
স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতরাও ‘ডিক্যাব টকে’ বক্তব্য দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়ে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চীন, ভারত, ওআইসিসহ আসিয়ান দেশগুলোর সবাইকে সক্রিয় হতে হবে।