মামুনুল ও মাদানীসহ হেফাজতের ১৪ নেতা কাশিমপুর কারাগারে
হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তারকৃত নেতা মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১৪ নেতাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, রাষ্ট্র বিরোধীসহ নাশকতা কর্মকাণ্ড ও ডিজিটাল আইনে করা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারকৃত হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ১৪ জন নেতাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের পুলিশের প্রহরায় একটি প্রিজনভ্যানে করে কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওই কারাগারে পাঠানো হয়।
এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আজ বুধবার দুপুরে এ কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ স্থানান্তর করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ কারাগারেই (কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২) বন্দি ছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারী কমিশনার শুভাশীষ ধর জানান, রাষ্ট্র তথা সরকারবিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি উসকানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৬) গত ৭ এপ্রিল ভোররাতে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব ১-এর সদস্যরা। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাঁকে হস্তান্তর করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিএমপির গাছা থানায় ৮ এপ্রিল ও বাসন থানায় ১১ এপ্রিল একটিসহ দুটি পৃথক মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ পাঠানো হয়। রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটককালে তাঁর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ‘এডাল্ট কনটেন্ট’ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়। এসব এডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এ জন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় পর্নোগ্রাফির আরও একটি ধারা সংযোজন করা হয়। এ দুটি মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাকার তেজগাঁও থানার অপর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ফের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।