পুলিশকে ফাঁকি দিলেও মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর সমাগত। এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন বাস্তবতায়। ঈদের হাটে-বাজারে কিংবা বিভিন্ন স্থানে বরাবরের মতো মেলা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। যে যেখানেই ঈদ করি যেন সংক্রমণ রোধে সচেতন হই।’
‘যারা পুশিশকে ফাঁকি দিয়ে স্থানান্তরিত হচ্ছেন নানা কৌশলে, তাদের মনে রাখা উচিত পুলিশকে ফাঁকি দিলেও করোনা ও মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই বলব, সংক্রমণ ও মৃত্যু যেন নতুন ট্রাজেডি বয়ে নিয়ে না আসে তা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে হবে আমাদের সবাইকে।’
এ সময় ওবায়দুল কাদের ঈদ জামায়াতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
আজ শনিবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ঈদের প্রাক্কালে বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
করোনা সারাবিশ্বকে আজ বদলে দিচ্ছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরবর্তী জীবন আর এমন থাকবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা নিয়ে অনিশ্চিয়তার কালো মেঘ থেকেই যাচ্ছে। তবু জীবন থেমে থাকবে না। জীবন বহতা নদীর মতো বদলে যাওয়া পৃথিবীতে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলবে হবে, বাঁচতে হবে।’
‘করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক বাস্তবতা সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে। প্রতিযোগিতামুলক বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে ভারসামমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। আমাদের এখন নিজেদের বাঁচতে হবে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য বিধি।’
জাতি হিসেবে আমাদের বিশৃঙ্খলা, বিভেদ করোনা সংক্রমণকে সর্বগ্রাসী ও বিধ্বংসী করতে পারে- এমন মন্তব্য করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া যা পারছে, আমরা কেন পারবো না? জীবন বাঁচানো এখন অগ্রাধিকার আবার জীবন বাঁচাতে জীবিকাও সচল রাখতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন জীবন ও জীবিকার মাঝে সুসমন্বয় রাখতে হবে। এই সমন্বয় সাধনের জন্য শেখ হাসিনা সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগের অনামিশা মানবতার বাতিঘর শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। সাহস ও মনোবল নিয়ে করোনাকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তাহলেই আমরা সফল হবো।’
উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সঠিক নয় মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এই সংকটে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে পুরো গতিতে। মেট্রারেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্মফুলী টানেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়েসহ সব কাজও সীমিত অবস্থায় চলছে। ঈদের পর সব প্রকল্পে কাজ আরো গতি পাবে।’