দুই সপ্তাহ পরই বাজারে আসবে ফরিদপুরের পেঁয়াজ
সারা দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেলা ফরিদপুর। বিভিন্ন উপজেলায় পেঁয়াজ চাষিরা কাটাচ্ছেন ব্যস্ত সময়। ১৫ দিন পর এসব এলাকার পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। ওই এলাকার কৃষকদের আশা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ বাজারে এলেও দাম কমে যাবে।
এরই মধ্যে কৃষকরা মুড়িকাটা ও হালি জাতের পেঁয়াজের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে মাঠে।
গত বছর ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছিল। আর এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করার।
এরই মধ্যে জেলার সদর উপজেলার ভাষানচর, অম্বিকাপুর, চরমাধবদিয়া, তালতলা ও মমিনখার হাট এলাকায় মুড়ি পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে সালথা ও নগরকান্দাসহ অন্য উপজেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠবে আর ১৫ দিন পর থেকে। এই পেঁয়াজ বাজারে উঠা শুরু হলে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন এখানকার কৃষকরা।
এ ছাড়া পেঁয়াজের উপজেলা হিসেবে খ্যাত নগরকান্দা ও সালথাসহ অন্য উপজেলাজুড়ে চলছে হালি পেঁয়াজ ক্ষেতের পরিচর্যা। এখানকার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বীজতলা বানানোর কাজে। এই বীজতলা থেকে চারা তুলে কদিন বাদে তাঁরা শুরু করবেন পেঁয়াজ লাগানো। হালি পেঁয়াজ বাজারে আসবে ফাল্গুন মাস থেকে চৈত্র মাসের দিকে। তখন পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে জানালেন এই এলাকার কৃষকরা।
তবে গত বছর পেঁয়াজের দাম তেমন না থাকা ও লোকশান গোনায় অনেকে এই চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে যে হারে পেঁয়াজ চাষ হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি এবার।
কৃষকরা জানায়, সরকার কম সুদে কৃষি ঋণসহ পেঁয়াজ চাষে সার, কীটনাশকসহ যাবতীয় বিষয়ে সহযোগিতা করলে কৃষকরা আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
এ ছাড়া দামের ব্যাপারে আর যাতে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে না হয় এটাও খেয়াল রাখার কথা বলে তারা।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘ফরিদপুরে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। আর এরপর থেকে পেঁয়াজের যে সংকট তা অনেকটা কেটে যাবে।’
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আমি কৃষকদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছি এবং মাঠ পরিদর্শন করছি। আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ সংকট কেটে যাবে।’
পেঁয়াজ চাষে জড়িত কৃষকদের দাবি, অতি দ্রুত সরকার কৃষকদের মধ্যে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে পেঁয়াজ চাষ বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে। একইসঙ্গে আগামী দিনে পেঁয়াজের দাম ও আমদানি দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে করে কৃসকের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ে।