যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ‘চরিত্রহীন’ অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা ও পাঁচ নারীসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় নয়জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ফুলসারা এলাকার বাসিন্দা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম (৪৫), ইমরান হোসেন (২৩), আজুফা বেগম (৪০), শিউলী বেগম (২৬), রেহেনা (৪০), বিউটি বেগম (৪২) ও শাপলা বেগম (৩৫)। অপর দুই আসামি মিরাজ ও জামাল হোসেন পলাতক।

ভুক্তভোগীর স্বামীর বরাত দিয়ে চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম এনামুল হক জানান, গত রোববার সকালে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাজারে কাজে যাওয়ার পর খবর পান, কয়েকজন প্রতিবেশী তাঁর স্ত্রীকে মারধর করছে। এ সময় দ্রুত বাড়ি গিয়ে দেখেন, তাঁর স্ত্রী আহত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং মাথার চুল কাটা।

নকশিকাঁথা ও বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন প্রকার হাতের কাজ করে বেশ আয়-রোজগার করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের ধারণা, আমার চরিত্র ভালো না। তাই তারা আমাকে অনেক মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে।’