গোপালগঞ্জে করোনায় পল্লিচিকিৎসকের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৯
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিমল কৃষ্ণ রায় ত্রিনাথ (৬০) নামের এক পল্লিচিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রাজপাট গ্রামের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তিনি রাজাপাট গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কয়ূম তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, গত ৩ জুলাই পল্লিচিকিৎসক বিমল কৃষ্ণ রায় ত্রিনাথের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সকালে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরো ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫০ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৩৮৮ জন। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ১৫ জন।
আজ শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১৩ জন, মুকসুদপুরে দুজন, কোটালীপাড়ায় নয়জন, কাশিয়ানীতে একজন ও টুঙ্গিপাড়ায় চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৯৪ জন, কাশিয়ানীতে ১৭৫, গোপালগঞ্জ সদরে ২৭৮, টুঙ্গিপাড়ায় ১৬০ ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৪৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৭৬ জন।