করোনায় ক্ষুধা নিবারণ ও সচেতন করতে সারা দেশে কাজ করছে ছাত্রলীগ
নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বসাধারণকে ঘরে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সংকটে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
একদিকে ক্ষুধার জ্বালা, আরেক দিকে করোনা থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা। ঠিক এ সময়ে এসব মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সারা দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী সহযেগিতা করার। আর তাই যেন হচ্ছে।
সারা দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি খাদ্য বিতরণসহ নানান কর্মসূচি নিয়েছে সংগঠনটি। নিজেরাও তৈরি করছে মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ নানা উপকরণ। ব্যবস্থা করেছে মোবাইল ফোনে চিকিৎসা সেবা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ চলছে সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ গত শুক্রবার থেকে খাবার বিতরণ করে আসছে। বুধবার থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে নেমেছে মহানগর উত্তর ছাত্রলীগও।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশে এই ভয়াবহ করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ শুরু করেছি। ছাত্রলীগ জাতির যে কোনো দুর্যোগে সব সময় এগিয়ে আসে নিজেদের নীতি ও নৈতিকতা থেকে। এবারও আমরা এগিয়ে এসেছি। মানুষের কল্যাণে ছাত্রলীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকে।
রাজধানীর মিরপুর মাজার গেট, মিরপুর ১ ও ২ নম্বর সেকশন, কাফরুলসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেছেন মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম।
এ ব্যাপারে মো. ইব্রাহীম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির যে কোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে ছিল, আগামী দিনেও থাকবে। ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করে, সেই ছাত্রদের কারো টিউশনির টাকা, কারো টিফিনের টাকা দিয়ে আজ আমরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অসহায় মানুষদের মধ্যে চাল-ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির ফলে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব মানুষের কথা ভাবেন, এ জন্য তিনি বরাদ্দও দিয়েছেন। তাই তাদের জন্য আমাদের এই সামান্য আয়োজন।’
এ ছাড়া মহানগর, জেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।