গাজীপুর সিটিতে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা। ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন গঠিত হবার পর গাজীপুরের তৃতীয় নির্বাচন এটি।
আজ সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে বেশ তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয়। ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে বেআইনিভাবে প্রবেশের অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, সকালের দিকে ভোটার সংখ্যা কম থাকলেও সময় বাড়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়তে থাকে। তবে, ইভিএমে ভোট নিতে কিছুটা ধীরগতি ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুর। এই সিটিতে লড়ছেন মেয়র পদে আট প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন, অর্থাৎ মোট ৩২৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ভোটের জন্য ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪৯৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার এবং ছয় হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন সহায়ক রয়েছেন ১০ হাজার ৯৭১ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনী ১৩ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রায় ৩৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৩০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, মহিলা ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।