প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ছবি : এনটিভি

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই দাবিতে রোববার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধনে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরে। দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচিও দেবে বলে ঘোষণা দেয় তারা।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর, ফারুখ হোসেনসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তারা করে প্রশ্নফাঁস, আমরা দুঃখে কাঁদি, রাষ্ট্রের নাই মাথাব্যথা, আমরা বেকার মরি’, ‘ফাঁসকারীদের জামিন দিয়ে শিক্ষক আনবে বিদেশ হতে?’, ‘প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক হবি, মানুষ হবি কবে?’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এ সময় পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুই ধাপের পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এসেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হয়েছে। তাই আমরা পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানাই।

এ সময় হাসান আল মামুন তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা এবং সব পাবলিক পরীক্ষা পিএসসির মাধ্যমে নেওয়া।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে এটাই আমাদের প্রথম কিংবা নতুন আন্দোলন নয়। আমাদের আগেও অনেক ছাত্রসংগঠন এসবের প্রতিবাদ করেছে। শুরু থেকে প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া দুর্বল শাসন ব্যবস্থা এবং সুশাসনের অভাব।

নুর বলেন, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নফাঁস নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা সরকারি ছাত্রসংগঠনের হামলার শিকার হয়েছি। যেই প্রশ্নফাঁস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে এবং বিতর্কিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নতুন পরীক্ষা দিয়েছে।

সরকারি সব নিয়োগে পিয়ন থেকে প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত চাকরি টাকার বিনিময়ে ক্ষমতাসীনদের লোকদের কাছে জিম্মি বলে মন্তব্য করেন ডাকসুর ভিপি। তিনি সরকারি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অতিদ্রুত প্রশ্নফাঁস নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

এদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন শহরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।