রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ চারজনকে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!

কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন ছাড়াই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থাপিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করায় উপাচার্যসহ (ভিসি) চারজনকে ছয় মাসের জন্য সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপন ছাড়া তাদের কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ও রেজিস্ট্রারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম ছোটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহের হোসেন সাজু।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, শাহজাদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ড. মো. জামিনুর রহমান রিটটি করেন। রিটে বলা হয়, ২০১৬ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন পাস হয়। আইনের ১ (২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারণ করবে সেই তারিখে এ আইন কার্যকর হবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির আগেই উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন। একই বছর ২৮ মার্চ সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং চলতি বছর ১১ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ঢাকার ধানমণ্ডিতে স্থাপিত লিয়াজোঁ অফিসের ঠিকানায় এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল রিট আবেদনকারী মো. জামিনুর রহমান নানা অনিয়ম তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রজ্ঞাপন ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা এবং তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তিনি। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।