৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে আরটিজিএসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি : সংগৃহীত

দেশের অভ্যন্তরে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের (আরটিজিএস) মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন নিষ্পত্তি করবে ব্যাংকগুলো। আজ রোববার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতদিন প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে দেশের ভেতরে স্থানীয় মুদ্রা টাকায় লেনদেনের অনুমতি ছিল। এ সেবা চালুর মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় দ্রুত সময়ে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংকগুলোর আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত লেনদেন নিষ্পত্তি কার্যক্রম আরও সহজ হবে। দ্রুত সময়ে লেনদেন নিষ্পত্তির ফলে ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশীয় মুদ্রায় রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) লেনদেনের সর্বনিম্ন পরিমাণ এক লাখ টাকা। তবে সরকারি অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। এছাড়া আরটিজিএসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় যেকোনো পরিমাণে লেনদেন করতে পারবে। প্রতিটি লেনদেনে গ্রাহক থেকে ব্যাংকগুলো ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ১০০ টাকা বা সমমানের ডলার ও ইউরো নিতে পারবে।

কাগজ-কলমভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থার বিকল্প আরটিজিএস শুরু থেকেই ব্যাংকার-গ্রাহকদের আকর্ষণ করেছে। দেশের ৫৯টি ব্যাংকের ১১ হাজারের বেশি শাখা বর্তমানে দেশীয় মুদ্রায় আরটিজিএস সিস্টেমে লেনদেন করে। তাই দেশীয় মুদ্রার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায়ও এ সেবা চালু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে এডি ব্রাঞ্চ ও হেড অফিস ক্লিয়ারিং ইউনিট ইস্যু করতে পারবে। অন্যকোনো শাখা থেকে এ লেনদেন করা যাবে না। পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রায় নতুন এ কার্যক্রম শুরু হবে—মার্কিন ডলার, পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও কানাডিয়ান ডলারে।

বর্তমানে ব্যাংকগুলোর এ ধরনের লেনদেন করার জন্য একজন কর্মীর মাধ্যমে ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (এফডিডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রেখে আসতে হয়। এফডিডির এ ধরনের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাব রাখতে হয়, যার মাধ্যমে লেনদেন পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঋণদাতাদের কাছে পাঠায়।

ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (এফডিডি) হলো— কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চ্যানেল ব্যবহার করে আন্তঃব্যাংক তহবিল স্থানান্তরের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোর ব্যবহৃত একটি চ্যানেল, যা নিষ্পত্তির জন্য এক কার্যদিবস সময়ের প্রয়োজন হয়। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক দিনের মধ্যে এফডিডি নিষ্পত্তি করে, তবে ব্যাংকগুলোর লেনদেন থেকে লাভবান হওয়ার জন্য দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। তবে আরটিজিএসের মাধ্যমে এফডিডি ক্লিয়ারিং হলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের হিসাবে লেনদেন নিষ্পত্তি হবে।