ত্বকের রং পরিবর্তনে যেসব সমস্যা হয়

ত্বকের রং অনেক সময় পরিবর্তন হয়। ত্বকে সাদা, কালো বা লাল দাগ পড়তে দেখা যায়। এর কারণ কী? এটি কি ক্ষতিকর?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৯৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চর্ম ও যৌন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ত্বকের যে বিভিন্ন দাগ বা রঙের পরিবর্তন হওয়া, এটি কি ক্ষতিকর?
উত্তর : প্রথমে বলি আমাদের ত্বকের রং কেমন। আমাদের শরীরে একটি কোষ রয়েছে, যাকে আমরা বলি ম্যালানোসাইট। এটি ম্যালানিন নামে একটি কালো পিগমেন্ট তৈরি করে। এটি যাদের বেশি, তারা হলো ততটা কালো। আর যাদের একটু কম বা আকারে ছোট, একে ফিউম্যালানিন বলি। আর কালোরা হলো ইউমেলানিন।
যাদের রোদ কম লেগেছে, তারা বেশি ফর্সা হয়েছে। আর যাদের রোদ বেশি, তারা কালো হয়েছে।
সাদা চামড়া যাদের, তাদের কিন্তু গ্রিনহাউসের প্রভাবের জন্য প্রচুর ত্বকের ক্যানসার হচ্ছে। তবে কালো ত্বক যাদের, তারা অনেকেই দুঃখ করেন, ফর্সা হতে চান।
আর যদি আমি পিগমেন্টেশের কথা বলি, কালো হয়ে যায় ত্বক, মেছতা হয়। অথবা জন্মগত তিল রয়েছে কালো, বড়। আবার কারো কারো দেখা যায় লাল রঙের তিল। পুরো মুখের একটি পাশ লাল হয়ে গেছে। সে রকম নিয়েও আসতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাদা হতে পারে। সাদা হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। সব সাদা হলেই শ্বেত রোগ হয়ে গেল, সেটি কিন্তু নয়। যাদের একটু অ্যালার্জিক প্রবণতা রয়েছে, যদি রোদে পোড়া হয়, তাহলে কিছু কিছু অংশ সাদা হয়ে যেতে পারে। খুব জটিল কোনো অবস্থা নয়। আমরা সাধারণ মলম, সানস্ক্রিন দিয়ে তাকে ভালো করে তুলতে পারি। আবার কিছু ফাঙ্গাস রয়েছে, যেমন সৌদ বলে থাকে, এটিও কিন্তু ত্বকের মধ্যে সাদা সাদা জিনিস তৈরি করে। খুব সহজ চিকিৎসা। কিছু শ্যাম্পু দিয়ে আমরা এগুলো ভালো করে ফেলতে পারি। তবে ভয়ের কারণ হলো শ্বেতী।
শ্বেত রোগের ক্ষেত্রে আমি যদি তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করতে পারি, তাহলে চিকিৎসা অনেক ভালো। আমি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাকে কমিয়ে ফেলতে পারি। তবে মনে রাখতে হবে, শ্বেত রোগ নিয়ন্ত্রণযোগ্য। মাঝেমধ্যে কিন্তু সে আবার ফিরেও আসতে পারে।