থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ কী?

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগটি বেশ প্রচলিত। থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৮১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ বি এন ইউনুস। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ।
প্রশ্ন : একটি শিশুর যদি থ্যালাসেমিয়া হয়, এর লক্ষণ কীভাবে প্রকাশ পাবে?
উত্তর : যারা থেলাসেমিয়া মেজর বা থেলাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়েটে আক্রান্ত, বাবা ও মা উভয়ের থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিন যারা পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রথম যে লক্ষণ দেখা যাবে, সেটি হলো, তার ডেভলপমেন্টাল মাইল্ডস্টোনগুলো কমে যায়। বয়সের তুলনায় তার বৃদ্ধিটা কমে যাচ্ছে। একজন ১৫ বছরের কিশোরকে হয়তো দেখা যাবে আট বা ১০ বছরের মতো। এই ছাপটা কী রকম? সেটি হলো, অনেকটা উপজাতীয় ভাব আসে, চেহারার মধ্যে। জন্মের সময় কিন্তু দেখা গেল যে ঠিকই রয়েছে।
বিশেষ করে ললাটের হাড় মোটা হয়ে যায়, সামনের দিকে ঝুঁকে যায়, হাড়গুলো স্পষ্ট হয়ে যায়, তার জন্য দেখা যায় ঠোঁট দুটো লেগে আছে। আস্তে আস্তে ফাঁক হয়ে যায়। নাকটা একটু চাপা থাকে, দুই চোখের মাঝখানে নাকের গোঁড়ার যে দূরত্বটা, এটা কিন্তু এদের ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে বেড়ে যায়। হাড় বাড়ার কারণে এই ধরনের পরিবর্তন হয়, দেখা যাবে এই বাচ্চা দুর্বল, তার কার্যক্রম সন্তুষ্টজনক নয়। সে কাজে শক্তি পাচ্ছে না। সেই সঙ্গে যদি পরীক্ষা করেন, তার রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস, এনিমিয়া এগুলো পাওয়া যাবে। দেখা যাবে, তার পেটটা ফুলে যাচ্ছে। অর্থাৎ তার পেটের ভেতর প্লিহা ও যকৃত, এ দুটো কিন্তু আস্তে আস্তে বেশ ফুলে যায়।
চিকিৎসকের কাছে গেলে বলবে, এখনই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন। না হলে সে ঠিকভাবে বাড়তে পারছে না। এসব লক্ষণ দেখলে মাবাবার অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।