‘কিশোরীদের প্রোটিন ও আয়রন বেশি খেতে হবে’
নারীদের বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন। কৈশোরে যেহেতু নারী শরীরে একটি পরিবর্তন আসে, তাই এ সময় পুষ্টির দিকে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিশোরীদের পুষ্টির বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফাতেমা পারভীন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিশোরী বয়সে কোনো ধরনের পুষ্টি বেশি প্রয়োজন?
উত্তর : নারীর পুষ্টির বিষয়ে কথা বলতে গেলে, প্রথমে বলতে হবে এডোলোসেন গার্লদের নিয়ে। অর্থাৎ যারা কেবল কৈশোরে পা দিয়েছে-তাদের কথা বলতে হবে। কৈশোরে একটি মেয়ের বাড়তি কিছু খাবারের প্রয়োজন। কারণ, আমরা জানি, এ সময় তার ঋতুস্রাব হয়। প্রতি মাসে তার কিছু রক্তক্ষরণ হয়। এটি তাকে পূরণ করতে হবে। সেই জন্য তাকে আয়রন জাতীয় খাবার বা প্রোটিন জাতীয় খাবার একটু বেশি খেতে হবে। এমনিতে তার বয়সের তুলনায় তার বৃদ্ধির জন্য যেটুকু পরিমাণ খাবার সেটিতো খেতেই হবে, মেয়েদের বেলায় সেই খাবারটি আরেকটু বাড়িয়ে দিতে হবে।
তবে সাধারণত দেখা যায় ওই সময়টায় তাকে খেতে দেওয়া হয় না। আর্থসামাজিক অবস্থায় মনে করে যে ছেলে উপার্জন করবে, বাইরে যাবে। ছেলেকে বেশি খেতে দিতে হবে।
মিডেল ক্লাসের মেয়েরা স্বাস্থ্য সচেতন বলতে মনে করে ডায়েটিং। ডায়েটের সঠিক পদ্ধতি পালন করা হয় না। সে খাবার খাওয়া কমিয়ে দেয় অথবা মূল খাবার যেটি থাকে, সেই বয়সে যেটি প্রয়োজন, সেটাই খায় না। আবার উচ্চ বিত্তের দিকে যদি যাই, সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে গেছে এখন জাংক ফুড। তারা এমন খাবার খায় যার বেশির ভাগ পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে গেছে অথবা এর মধ্যে আদৌ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কিছু নেই। এই কারণে সে প্রয়োজনীয় রুটিন খাবারগুলো খাচ্ছে না। ফাস্ট ফুড বলে যেগুলো প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো একদিকে যেমন ভেজাল হতে পারে, অন্যদিকে রান্নার পদ্ধতির কারণে এর পুষ্টিগুণ অর্ধেক নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং সঠিক পদ্ধতিতে খাওয়া,সঠিক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ।