Skip to main content
NTV Online

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য
  • অ ফ A
  • ডায়েট
  • ফিটনেস
  • নারীস্বাস্থ্য
  • শিশুস্বাস্থ্য
  • প্রবীণ
  • মন
  • ভেষজ
  • স্বাস্থ্যকথা
  • রোগব্যাধি
  • প্রতিকার চাই
  • অন্যান্য
  • খাবারের গুণাগুণ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • স্বাস্থ্য
ছবি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভিতে উৎসবের আমেজ

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

রোমান্টিক শহরে মেহজাবীন

বিয়ের পিড়িতে জেফ বেজোস - লরেন সানচেজ

জন্মদিনে রুক্মিণী

মি. অ্যান্ড মিসেস মেসি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

মায়াবী চোখে কেয়া পায়েল

ভিডিও
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৯১
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৯১
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৬২
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৯
নাটক : সত্য বলা মহাপাপ
নাটক : সত্য বলা মহাপাপ
গানের বাজার, পর্ব ২৩৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৫৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৫৮
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৯
শাশ্বতী মাথিন
১৪:১২, ০৫ জুলাই ২০১৫
শাশ্বতী মাথিন
১৪:১২, ০৫ জুলাই ২০১৫
আপডেট: ১৪:১২, ০৫ জুলাই ২০১৫
আরও খবর
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪১৬, মৃত্যু ১
কবিরহাটে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৩ জন  
আরও ৩৮৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

মহৎ পেশার মানুষ

হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ ডা. আবদুল মালিক

শাশ্বতী মাথিন
১৪:১২, ০৫ জুলাই ২০১৫
শাশ্বতী মাথিন
১৪:১২, ০৫ জুলাই ২০১৫
আপডেট: ১৪:১২, ০৫ জুলাই ২০১৫

ছেলেটি তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। স্কুল পরিদর্শনে এলেন একজন পরিদর্শক (স্কুল ইন্সপেকটর)। তখন মানসাঙ্কের (মেন্টাল এরিথমেটিক) প্রচলন ছিল। পরিদর্শক ক্লাসে পাঁচটি মানসাঙ্ক ধরলেন, অঙ্কগুলোও ছিল বেশ কঠিন। কীভাবে যেন সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দিল সে। উত্তর শুনে পরিদর্শক তো খুশি হলেনই, খুশি প্রধান শিক্ষকসহ সবাই। পরিদর্শক প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দিলেন ছেলেটিকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য।

১৯৩৯ সাল, সিলেট সদর মহকুমায় (বর্তমান জেলা) এসে বৃত্তি পরীক্ষা দিল ছেলেটি। ফল বের হলে দেখা গেল বৃত্তি পেয়েছে সে। তখন বৃত্তি ছিল মাসিক তিন টাকা। কী যে খুশি ছেলেটি, আনন্দ যেন আর ধরে না। এটা ছিল তার জীবনের প্রথম বড় ধরনের সাফল্য।

এ গল্প যাঁর জীবনের, তিনি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আবদুল মালিক। হৃদরোগের চিকিৎসায় যিনি এ দেশের পথিকৃৎ। ব্রিটিশ শাসনামলের ভারতবর্ষ, পরবর্তীকালে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ- এই তিন সময়ের সঙ্গেই পরিচয় ঘটেছে তাঁর। ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেট সদর থানার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ নোয়াগাঁও গ্রামে একটি একান্নবর্তী পরিবারে তাঁর জন্ম। এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর ঘটনাবহুল পথচলার গল্প।

আনন্দময় শৈশব

আমাদের গ্রামটা সিলেট শহর থেকে চার মাইল পূর্বে। সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা সবুজের গালিচা পাতানো গ্রামটিতে বেশ আনন্দে কেটেছে শৈশব। আমরা চার ভাই। দ্বিতীয় আমি। ভাইয়েরা মোটামুটি শান্ত প্রকৃতির, লেখাপড়ায়ও ভালো। তাই গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা স্নেহ করতেন। আমাদের বাড়িটি ছিল অনেক বড়। সামনে-পেছনে পুকুর আর বিস্তীর্ণ মাঠ। পুকুরে গোসল করা, সাঁতার কাটা, মাঠে ফুটবল খেলা-এগুলোর মজাই ছিল অন্যরকম!

আমার বাবা ফোরকান আলী ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বার্মায় ব্যবসা করতেন। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারাই। তাঁর ছবিটা বেশ ঝাপসা, স্মৃতিগুলো তেমন মনে নেই। তবে মা আমাদের বাবার অনুপস্থিতি টের পেতে দেননি। আর একান্নবর্তী পরিবার হওয়ায় দেখভালের তেমন সমস্যা হয়নি। মা ১৯৮২ সালের ১১ মে মারা যান। মায়ের চলে যাওয়া যে বিশাল শূন্যতা তৈরি করেছে তা অপূরণীয়।

স্কুল আর কলেজ

গ্রামে কোনো স্কুল ছিল না। শ্রীরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার লেখাপড়া শুরু হয়। সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে আমার দাদির ভাই মাওলানা আবদুল গফুর সাহেব আরবি ও ধর্ম পড়াতেন। তাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হতো। এই অভ্যাসটা সারা জীবনের জন্য রপ্ত হয়ে গেছে।

প্রাইমারি স্কুল শেষে ১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হই। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই এবং সরকারি বৃত্তি পাই। তখন এ ধরনের ফলাফল বেশ গৌরবের বিষয় ছিল। মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হই। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নিই। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় আমি ১১তম স্থান পাই।

চিকিৎসাবিদ্যায় সব সময়ই আগ্রহ ছিল

যখন স্কুলে পড়তাম তখন মনে হতো ডাক্তারি একটা মহৎ সেবামূলক পেশা। তাই চিকিৎসাবিদ্যার প্রতি বরাবরই একটা ঝোঁক ছিল। পরিবারের সদস্যদেরও ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হই। তাই আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালেই  ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হই। তখন এটি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র মেডিকেল কলেজ।

তখন এখনকার মতো বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা ছিল না। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রায় প্রতিদিন বিকেলে শাপলা চত্বর দিয়ে রেসকোর্সে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) হেঁটে আসতাম। এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে ব্যারাকে ফিরে লেখাপড়া করতাম। সেই দিনগুলো ছিল জীবনের সেরা দিন।

১৯৫৪ সালে নভেম্বর  মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হই। ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত  ইন্টার্নশিপ করি। জুন মাসেই পাকিস্তান আর্মি মেডিকেল কোরে যোগদান করি। আর্মিতে প্রথমে প্রশিক্ষণের জন্য লাহোরে যাই। এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। যেহেতু আমি সিভিল থেকে আর্মিতে যোগ দিয়েছিলাম, তাই নিয়মকানুন শেখানোর জন্য এই প্রশিক্ষণ। এরপর আমার বদলি হয় বিভিন্ন ফিল্ড মেডিকেল ইউনিটে; তখন লাহোর, মুলতান, আজাদ কাশ্মীর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি।

একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যে আমি দরখাস্ত করি। ১৯৫৮ সালে আমাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হই।

১৯৫৯ সালের জানুয়ারিতে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ রাওয়ালপিন্ডিতে মেডিকেল স্পেশালিস্টের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শেষে সিএমএইচ ক্যাম্বেলপুরে মেডিকেল স্পেশালিস্ট হিসেবে যোগ দিই।

১৯৬৩ সালে সরকার আমাকে স্ত্রীসহ বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। এডিনবরার ওয়েস্টার্ন জেনারেল হাসপাতাল এবং রয়েল ইন ফার্মারিতে লেখাপড়া শুরু করি। সেটা আমার জন্য স্বপ্নপূরণের আরেকটি ধাপ ছিল।

কার্ডিওলজি পেশায় কেন

বিলেতে গিয়ে ভাবতাম কোনো বিশেষ বিভাগে প্রশিক্ষণ নেব। আমার স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন তখন কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। তখন কার্ডিওলজি ছিল খুব নতুন বিষয় এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তাই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।

১৯৬৪ সালে আমি এমআরসিপি পাস করি এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসে দেশে ফিরে আসি। তখন থেকে ১৯৭০-এর জুন মাস পর্যন্ত  মিলিটারি হসপিটাল এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ রাওয়ালপিন্ডিতে শিক্ষক এবং কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এম এইচ রাওয়ালপিন্ডিতে কার্ডিওলজি ইউনিট স্থাপন করি, এখানে ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়।  

১৯৬৮ সালের শেষ দিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন। সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার জন্য আমাকে প্রেসিডেন্ট ভবনে যেতে বলা হলো। কর্নেল মহিউদ্দিন (পরবর্তীকালে লে. জেনারেল) ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক। আমি গিয়ে দেখলাম, আইয়ুব খানের বুকে ভীষণ ব্যথা, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলাম। তবে তিনি যেতে রাজি হলেন না। তাই প্রেসিডেন্ট ভবনেই তাঁর চিকিৎসা শুরু করতে হলো।

সে সময় আগরতলা মামলা চলছিল। তাই যেহেতু আমি বাঙালি, তাঁর চিকিৎসা করাটা ছিল আমার কাছে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আমি নিজ হাতে তাঁকে কোনো ইনজেকশন দিতাম না। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ কারণে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অনেক রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তার কাছে আমি বেশ পরিচিত হয়ে উঠি।

সব বাধা পেরিয়ে...

পশ্চিম পাকিস্তানে কাজ করার সময় একটা বিষয় আমাকে বেশ কষ্ট দিত। আমার দেশের (তখনকার পূর্ব পাকিস্তান) জন্য মন কাঁদত। পূর্ব পাকিস্তানে তখন হৃদরোগের চিকিৎসায় কিছুই ছিল না; কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে কেউ ছিল না। আমার বারবারই মনে হতো দেশের জন্য কিছু করা উচিত। তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। তাঁর সঙ্গে জেনারেল পীরজাদা এবং পূর্ব পাকিস্তানের মেজর জেনারেল করিম (অব.) প্রেসিডেন্ট হেডকোয়ার্টারে কাজ করতেন। জেনারেল পীরজাদা আমার রোগী ছিলেন। আমি বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। তাঁদের অনুরোধ করলাম পূর্ব পাকিস্তানে হৃদরোগ চিকিৎসার উন্নয়ন করার জন্য। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন রিয়াল অ্যাডমিরাল এহসান। জেনারেল করিম তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁরা আমার মতামত নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য আর্মি হেডকোয়ার্টারে লিখলেন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে পূর্ব পাকিস্তানে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য রাজি হলো। এরপর ১৯৭০ সালের জুন মাসে পিজিতে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক কার্ডিওলজি হিসেবে যোগদান করলাম।

তখন কার্ডিওলজি বিভাগে মাত্র ২০টি বেড ছিল। একটি নতুন বিভাগ চালু করা, একে বড় করে তোলা, অর্থের সংকুলান করা- অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাধা এসেছে অনেক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তোমার উদ্দেশ্য মহৎ, কিন্তু পথ অনেক কঠিন। তুমি কি এসব বাধা অতিক্রম করতে পারবে?’ আল্লাহর মেহেরবাণীতে সব বাধা অতিক্রম করে আমি লক্ষ্যে পৌঁছেছি।

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলো। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে সব সমস্যা সমাধান করা কঠিন ছিল। তবুও সরকার এবং তখনকার প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক উকিল, পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল মান্নান আমাকে পিজিতে পূর্ণাঙ্গ কার্ডিয়াক ইউনিট স্থাপনের জন্য অনেক সাহায্য করেছেন। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অর্থের জোগান দিয়ে সব কাজ করা অনেক কঠিন ছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল মান্নান মজা করে বলতেন, ‘আপনার সাথে কথা বলতে ভয় করে, আপনি শুধু এটা-ওটা করতে বলেন।’ আমিও মজা করে বলতাম, দান-খয়রাত এনে আপনারা হয়তো টাকা জড়ো করতে পারবেন। কিন্তু দক্ষ জনবল দ্রুত তৈরি করতে পারবেন না। মানুষকে এই কাজ শেখাতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য জনবল তৈরি করতে হবে।

এরপর ধীরে ধীরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি-এগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কাজ করি। এ ছাড়া সার্ক কার্ডিয়াক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সপার্ট প্যানেল কমিটি অন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ-এর সদস্য। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত রয়েছি।

আমি ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সে সময় আমাকে স্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটিও আমার জীবনের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

আমি মনে করি, যদি উদ্দেশ্য সৎ হয়, মন থেকে চাওয়া হয় এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করা হয় তবে সেই জিনিস পাবই। আল্লাহই সাহায্য করেন সেই জিনিস পেতে।

লোভ করিনি কখনো

আমার তিন সন্তান। এক মেয়ে ও দুই ছেলে। অনেক প্রলোভন এসেছে জীবনে। ক্লিনিকে রোগী পাঠাতে বলতেন অনেকে, বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখাতেন। নিজের পেশায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। আল্লাহই সাহায্য করেছেন।

কাজের প্রতি আন্তরিকতা প্রয়োজন

কেবল চিকিৎসা পেশাই নয়, সব পেশায় ভালো করতে হলে কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং নৈতিকতা থাকতে হবে। সিরিয়াসনেস থাকতে হবে। আমরা একটুতেই অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দিই। নিজের দোষ স্বীকার করতে চাই না। এটা ঠিক নয়। কাজকে মহৎ করে তুলতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা জরুরি।

মানুষের জন্য কাজ করতে চাই

আমি খুব বেশি সংস্থার সঙ্গে জড়াতে পছন্দ করি না। অনেকেই আমাকে ডাকে। আমার মনে হয় অনেক সংস্থার সঙ্গে জড়ালে কোনোটাকেই ভালোভাবে দাঁড় করানো যায় না। বর্তমানে হার্ট ফাউন্ডেশন নিয়েই বেশি কাজ করছি। কার্ডিওলজি বিভাগে বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। যতদিন বেঁচে আছি এ দেশের কার্ডিওলজি সেক্টরে আরো ভালো কাজ করে যেতে চাই।

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...
  2. ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির
  3. বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক
  4. বাবু ভাইয়া থাকছেন, জলঘোলা শেষে ‘হেরা ফেরি থ্রি’তে পরেশ রাওয়াল
  5. মা হচ্ছেন সোনাক্ষী? এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই
  6. সাধারণ মানুষের জন্য সিনেমা দেখা এখন বিলাসিতা : আমির খান
সর্বাধিক পঠিত

ছেলের ধর্ম ‘ফাঁকা’ রাখলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেতা, কারণ...

ফ্লপের ধুলো ঝেড়ে ৭ বছর পর হিট দিলেন আমির

বিবাহবিচ্ছেদের গুজব আর নয়, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিষেক

বাবু ভাইয়া থাকছেন, জলঘোলা শেষে ‘হেরা ফেরি থ্রি’তে পরেশ রাওয়াল

মা হচ্ছেন সোনাক্ষী? এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই

ভিডিও
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ৭
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৪
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০২
কোরআনুল কারিম : পর্ব ০২
সকাল বেলার নিমন্ত্রণে : পর্ব ০১
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২০
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২০
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, গ্র্যান্ড ফিনালে
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩০
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৩
এই সময় : পর্ব ৩৮৪০
এই সময় : পর্ব ৩৮৪০
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৫৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৫৮

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x