খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৭ এপ্রিল
যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন এই দিন ধার্য করেন।
আজ ওই আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় তাঁর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ সময়ের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ এ মামলায় খালেদা জিয়া হাজির না হলেও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, সেলিম ভূঁইয়াসহ অনেকে হাজির ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদ।
অভিযোগপত্রে থাকা অপর আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রাবাড়ী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, তাঁর ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূঁইয়া।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামের একজন মারা যান।
ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় খালেদাকে হুকুমদাতা হিসেবে দেখানো হয়।