খালেদা জিয়ার ফের আত্মপক্ষ সমর্থন ২ ফেব্রুয়ারি
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এই দিন নির্ধারণ করেন।
ওই আদালতে এ মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তাঁর পক্ষে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন।
ওই আবেদনে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা হরতালে নিরাপত্তা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ ছাড়া এ মামলায় আগের সাক্ষ্য দেওয়া ৩২ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার বিরুদ্ধে আমরা লিভ টু আপিল করব। এ জন্য এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পেছানো আবশ্যক।’
শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি শুনানিতে সময়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
এ বিষয়ে জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারক খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নতুন দিন রাখা হয়েছে। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে জামিন বাতিল করা হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।