‘মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে লিখতে হয়, জানেন না পারিকর’
চিঠির বদলে পাল্টা চিঠি। আক্রমণের বদলা প্রতি-আক্রমণ! ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আজকাল এমনই যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় সেনা নামানোর প্রসঙ্গে রাজ্যটির প্রশাসনিক ভবন নবান্নে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মমতা। সেই ঘটনার পর প্রতিবাদ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তিনি। জবাবে চিঠি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরও। কিন্তু সেই চিঠিটি পছন্দ হয়নি মমতার।
ফলশ্রুতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে আবারও চিঠি। চিঠিতে মমতা সাফ জানিয়ে দিলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে লিখতে হয় জানেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রথম চিঠিতে মমতা জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় সেনা নামানো হয়েছিল রাজ্যকে না জানিয়েই। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তাঁর অবস্থান ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়।
এর জবাবে মমতাকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছিলেন পারিকরও। চিঠিতে তিনি লেখেন, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। আর নানা স্পর্শকাতর বিষয় সম্পর্কে সব সময় রাজ্যকে জানানোও সম্ভব হয় না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েই রাস্তার টোলপ্লাজায় বিভিন্ন গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করছিলেন সেনাকর্মীরা।
পারিকর আরো লেখেন, সেনারা জাতির গৌরব। আর তাই সেনাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কারো পক্ষে শোভা পায় না। তিনি মমতার এই মন্তব্যে ব্যথিত বলেও জানান।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এই চিঠি পাওয়ার পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মমতা। পাল্টা চিঠিতে লেখেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে চিঠি লিখতে হয় তা জানেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারিকর। চিঠিতে তিনি আরো জানান, তিনি সেনাবাহিনীর কাজের পরিধি জানেন।
আরো জানান, তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে কিছু বলেননি। বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত নীতি সম্পর্কে। পারিকরকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, বিতর্কিত নীতি তো আপনারা ঠিক করেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে সেনাদের ব্যবহার করেন। চিঠিতে মমতা পারিকরকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোরও পরামর্শ দেন।