ভাসমান অভিবাসীদের সহায়তায় প্রস্তুত মিয়ানমার
অবৈধপথে নৌযানে চড়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের মানবিক সহায়তায় প্রস্তুত আছে মিয়ানমার। আজ বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সমুদ্রে কষ্টে থাকা যেকোনো ব্যক্তিকে মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত মিয়ানমার।’
সমুদ্রে বিভিন্ন নৌযানে হাজার হাজার মানুষ এখনো ভাসছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ এ ঘটনায় মিয়ানমারকে চাপ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের সঙ্গে মিয়ানমার শামিল হয়েছে। তাই সমুদ্রে আটকে থাকা যেকোনো লোককে মানবিক সহায়তা দিতে চায় দেশটি।
মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া মূল জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলমানরা। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। গত কয়েক দিনে তিন হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার উপকূলে ভিড়েছে। তীব্র খাদ্য ও পানিসংকটে থাকা আরো কয়েক হাজার এখনো সমুদ্রে ভাসছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর সতর্ক করে বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে সমুদ্রপথে রওনা দেওয়া নারী-শিশুসহ দুই হাজারের মতো লোক ৪০ দিন ধরে ভাসছে। তারা ক্ষুধা ও পানিশূন্যতায় ভুগছে। তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।