পুলিশ ভয়ংকর!
পুলিশের ভয়ংকর রূপ দেখা গেল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লির জনবহুল রাস্তায় ঘুষের দাবিতে ছোট্ট এক মেয়ের সামনে তার মাকে ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে এক ট্রাফিক পুলিশ। সেই দৃশ্য আবার ক্যামেরায় ধারণ করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা। ধারণকৃত ওই ছবি দেখেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।
ঘটনায় আহত ওই নারী সোমবার এনডিটিভিকে জানান, রোববার দুপুরে স্কুলে অভিভাবকদের মিটিং ছিল। সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে টু হুইলার (স্কুটি) চালিয়ে ফিরছিলেন তিনি। পথে তাঁর স্কুটি থামিয়ে ট্রাফিক সিগনাল অমান্য করায় ২০০ রুপি জরিমানা করেন ট্রাফিক পুলিশ সতীশ চন্দ। এই জরিমানার রসিদ চাইলে ক্ষেপে যান ওই পুলিশ সদস্য। এ সময় পুলিশের সাথে তাঁর তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় বলেও জানিয়েছেন ওই নারী।
আহত ওই নারী এনডিটিভিকে আরো জানান, একপর্যায়ে সতীশ চন্দ তাঁর স্কুটি লাথি মেরে ফেলে দেন এবং ছোট মেয়েটির সামনেই ইট দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে লোক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানালেও তাতে কান দেননি ওই ট্রাফিক পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজনের মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ছবিতে দেখা যায়, ওই মহিলাকে ইটের আধলা দিয়ে আঘাত করছেন ট্রাফিক পুলিশ। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ভীতসন্ত্রস্ত শিশু মেয়ে।
ইটের আধলার আঘাতে পিঠে মারাত্মক আঘাত পান ওই মহিলা। হাসপাতালের বেডে শুয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এনডিটিভিকে বলেন, ‘এসব ঘটনাই ঘটেছে প্রকাশ্য দিবালোকে। যেখানে রক্ষক পুলিশই এমন করে, তখন নিরাপত্তা কোথায়?’
ঘটনার পর দিল্লি পুলিশপ্রধান বি এস বাশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যা ঘটেছে তা লজ্জাজনক। ছবি ও ভিডিও দেখার পর পুলিশ সদস্য সতীশ চন্দকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
পুলিশপ্রধান বাশি আরো বলেন, ‘জনগণের সেবক হিসেবে একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের এমন লজ্জাজনক আচরণের জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।’