যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও রকেট পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় বুধবার ওই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধি কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনে সহায়ক যেকোনো পক্ষই এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র বেচাকেনা কিংবা উৎপাদনে সহায়তা করে এমন কোনো ব্যক্তি বা ভূখণ্ড নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হবে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার প্রচলিত অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানো, রকেট কর্মসূচির প্রসার, অর্থপাচার, মাদকপাচারে সহায়তাকারী পক্ষগুলোকেও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
প্রস্তাবটিতে উত্তর কোরিয়ায় রেডিও সম্প্রচার এবং মানবিক সহায়তা খাতে পাঁচ কোটি ডলার ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। দুটি প্রস্তাবই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
সর্বশেষ প্রস্তাবটির অন্যতম প্রণেতা রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর কোরি গার্ডনার উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে ওবামার ‘কৌশলগত ধৈর্যধারণ’ নীতির সমালোচনা করেন।
১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে গার্ডনার বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর থেকে কোরিয়া উপদ্বীপের পরিস্থিতি বর্তমানে সবচেয়ে অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে।’