যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের হুমকি দিল চীন
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রাখলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। বলা হয়েছে, ‘একটি ছোট ঘটনা’ থেকেই যুদ্ধ শুরু হতে পারে। আজ শুক্রবার চীনের নৌবাহিনীর প্রধান যুক্তরাষ্ট্রকে এই সতর্কবার্তা দেন।
চীন সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চীনের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল উ শেংলি ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অভিযানবিষয়ক প্রধান অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ চীনের বিতর্কিত দ্বীপের কাছে যাওয়ায় পর এই প্রথম দেশ দুটির নৌবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে কোনো বৈঠক হলো।
আজ শুক্রবার চীন সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, উসকানিমূলক এমন কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রাখলে পরিস্থিতি ভয়ানক খারাপের দিকে যাবে। তখন ছোট একটি ঘটনা থেকে দুই দেশের নৌ ও বিমানবাহিনীই মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রকে এমনটিই জানিয়েছেন চীনের নৌবাহিনীর প্রধান।
বিবৃতিতে চীনের নৌবাহিনীর প্রধান উ শেংলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নৌবাহিনীর মধ্যকার বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সহজে আসেনি।
শেংলি আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যা এই অর্জনকে হুমকির মুখে ফেলে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে নিয়ম মানা ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের নৌবাহিনীর প্রধান। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই দেশের জাহাজ ভেড়ার সময়সূচি স্বাভাবিকই থাকবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সফরের বিষয়টি পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ীই হবে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ভিডিও কনফারেন্সে উভয় দেশের নৌপ্রধানই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী চলার বিষয়ে একমত হয়েছেন। আর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অন্য দেশের জাহাজের সাক্ষাৎ হলে নৌ চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম সিইউইএস মানার ব্যাপারেও একমত হয়েছে দুই দেশ।
গত মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি চীনা দ্বীপের কাছে যুদ্ধজাহাজ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, দ্বীপটিতে কোনো সামরিক ঘাঁটি করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, কৃত্রিম দ্বীপে কোনো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হবে না। আর গত মাসে এক ঘোষণায় ওই দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে অন্য দেশের জাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এটি গভীর সাগরে নৌযান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়মের বিরোধী।