আইএসকে সহযোগিতা করা ১৬ তুর্কি নারীর মৃত্যুদণ্ড
ইসলামভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তুরস্কের ১৬ নারীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ইরাকের একটি আদালত।
দেশটির বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকের কেন্দ্রীয় অপরাধ আদালতের বিচারক আবদুল সাত্তার আল বিরকদার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত নারীরা আইএস যোদ্ধাদের বিয়ে করার কথা এবং বিভিন্ন হামলায় তাদের সহযোগিতা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তির পরই এ রায় দেওয়া হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত নারীরা আপিলের সুযোগ পাবে বলেও জানান তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে হাজার হাজার বিদেশি নাগরিক ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করছে। তাদের মধ্যে অনেক নারী আইএসে যোগ দিতে যায় বা অনেককে জোর করে নিয়ে যাওয়া হতো।
গত বছরের আগস্ট মাসে ইরাকের সরকারি বাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় শহর তাল আফার থেকে আইএসদের বিতাড়িত করার পর এক হাজার তিনশর বেশি নারী ও শিশু আত্মসমর্পণ করে।
সাহায্যকারী কর্মকর্তারা জানান, তাদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৭০০-তে দাঁয়িড়েছে। এদের অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে বা অভিযান শেষে তাদের বন্দি করা হয়। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এক তুর্কি নারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরো ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই অভিযোগে গত মাসে একজন জার্মান নারীকেও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২৭ শিশুসহ চার নারীকে রাশিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা ‘প্রতারণার’ শিকার হয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
গত ডিসেম্বরে ইরাক আইএসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করে। ২০১৪ সালে সংগঠনটি দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করত। ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে তাদের বিতাড়িত করলেও এখনো ইরাকে বোমা ও অন্যান্য হামলা অব্যাহত রয়েছে।