ভারতের সুন্দরবন অংশে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাইচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রুখে দিয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পুলিশ এ অভিযান চালায়। জলদস্যুদের ফেলে যাওয়া বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রসহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, জলদস্যুরা বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজটিকে ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেছিল।

জানা যায়,  দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ঝাড়খালী উপকূল থানার বিদ্যা নদী দিয়ে বাংলাদেশি একটি জাহাজ ভারতের অভিমুখে আসছিল। জাহাজটি শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্যা নদীর হামলাবেড়িয়া জঙ্গলের কাছে আসতেই জলদস্যুরা সেটি ছিনতাই করার ছক কষে।

অন্যদিকে, জলদস্যুদের এই পরিকল্পনার কথা গোপন সূত্রে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশের কাছে। তারপর সেই খবর যায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহার কাছে। সাত থেকে আটজনের একটি জলদস্যুর দল বাংলাদেশি জাহাজটিকে ছিনতাই করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। জলদস্যুরা নৌকা নিয়ে বিদ্যা নদীতেও প্রবেশ করেছে বলে জানতে পারে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষসহ পুলিশ বাহিনী জলপথে রওনা হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজটিকে জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করতে সম্ভব হয়।

পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই জলদস্যুরা দুটি গুলি ছোড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ। জলদস্যুদের পিছু ধাওয়া করে শূন্যে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে পুলিশ। একসময় জলদস্যুরা তাদের নৌকা ফেলে নদীর পানিতে ঝাঁপ দেয়। এরপর অন্ধকারের মধ্যেই সাঁতরে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার জানান, জলদস্যুদের ফেলে যাওয়া নৌকা দিয়ে দুটি গুলির খোল ও দুটি ওয়ান শুটার উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে আটক করা হয় জলদস্যুদের নৌকাটিও। পরে বাংলাদেশের জাহাজটিকে পুলিশি নিরাপত্তায় বিদ্যা নদী পার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।