দার্জিলিংয়ে মোর্চা সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ নিহত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের দার্জিলিংয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চার পুলিশ সদস্য।
আজ শুক্রবার সকালে দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসের কাছে টগবর জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, টগবর জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বেআইনি অস্ত্র কারখানা থেকে ছয়টি একে ৪৭, একটি নাইন এম পিস্তল, ৫০০ কার্তুজ এবং বিস্ফোরক তৈরির উপাদান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত এসআইয়ের নাম অমিতাভ মল্লিক।
আহত চার পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় তাদের এক দলীয় কর্মীও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে জনমুক্তি মোর্চা।
জানা যায়, ভোরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসের কাছে টগবর জঙ্গলে অস্ত্র কারখানা আছে। পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পাতলেবাসের কাছে তকনই লিম্বু বস্তি এলাকায় মোর্চা সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মোর্চা সমর্থকরা। গুলিতে এসআই অমিতাভ মল্লিক নিহত হন। আহত হন চার পুলিশ সদস্য।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশের এসআই অমিতাভ মল্লিকের (ডানে) কলকাতার মধ্যমগ্রামের বাড়ির সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি : এনটিভি
পুলিশের ভাষ্য, ওই এলাকাতেই লুকিয়ে যাতায়াত করতেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। গুরুংকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সুবিধা করে দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুংয়ের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পাহাড়ে আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে চলছে এই আন্দোলন।
মোর্চার এই আন্দোলনকে কঠোর হাতে দমন করতে মরিয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন। এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিমল গুরুংকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ খুঁজছে তাঁকে। তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পাতলেবাসেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা। তিনি দাবি করেন, গুরুং এখন সিকিম পালানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশের দাবি, ভারতের উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন গুরুং।
দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর এবার প্রকাশ্যে আসার বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুং। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ৩০ অক্টোবর জনসমক্ষে আসছেন তিনি।