সামরিক নয়, শান্তিপূর্ণভাবে কোরিয়া সংকট সমাধানের আহ্বান ইইউর
আক্রমণাত্মক সামরিক উপায়ে নয় বরং শান্তিপূর্ণভাবে কোরীয় উপদ্বীপের সংকট মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ফেড্ররিকা মোগেরিনি এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে দুই দেশের প্রতিই আহ্বান জানানো হয়।
ফেড্ররিকা মোগেরিনি বলেন, এশিয়া অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি বজায় রাখা জরুরি। আর বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় দুই দেশেরই সংযত হওয়া উচিত।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখে লাগাম দিতে অনুরোধ করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ট্রাম্পকে করা একটি ফোন কলে এ কথা বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ কথা জানানো হয়।
শি জিনপিং বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই পক্ষের মন্তব্য ও পদক্ষেপ থামাতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গুয়াম সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৪ মিনিটের মধ্যেই গুয়ামে আঘাত হানতে পারবে।
এর পর থেকেই নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, গুয়ামের কিছুই হবে না। অঞ্চলটি ‘খুবই নিরাপদ’। পরে আবার উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি করে ট্রাম্প বলেন, গুয়ামের কোনো ক্ষতি করলে উত্তর কোরিয়াকে ‘মহাঝামেলা’য় ফেলা হবে।
গত জুলাইতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় কোরিয়া। এর কয়েকদিন পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব পাস হয়। এতে বেশ চটে যায় কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়ার এই কাদা ছোড়াছুড়িতে শঙ্কিত বিশ্বনেতারাও। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ জানান, সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা খুবই বেশি। সমস্যা সমাধানে রাশিয়া ও চীনের যৌথ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, সামরিক পথে সমস্যার সমাধান হবে না। বাকযুদ্ধ বাড়ানো ভুল পথ।