মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪৭ সেনা নিহত
মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কোকাং বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির ৪৭ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৭৩ জন। দেশটির রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদমাধ্যম আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকা জানিয়েছে, চীন সীমান্তের কাছে সান রাজ্যের কোকাং এলাকার সেনা ঘাঁটিগুলোতে গত সোমবার হামলা শুরু করে চীনা নৃগোষ্ঠী বিদ্রোহীরা। সরকারের বিমান হামলার জবাব দিতেই তারা এই হামলা চালায়। গত কয়েকদিনে কোকাং বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমার সেনাদের ১৩টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকার প্রতিবেদনে বিদ্রোহীদের হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদপত্র ইরাবাদ্দি জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত দুজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। আরো একজন আহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা এটি। সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার লোক এই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে গেছে।
এর আগে বিদ্রোহীরা অভিযোগ করে, বিমান ও হেলিকপ্টার হামলার জন্য এলাকা থেকে ১০ হাজার লোক অন্যত্র চলে গেছে।
অনেক বছর ধরেই চীনা উপজাতি সংগঠন কোকাং মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। চীনে পাঁচ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর কোকাং বিদ্রোহীদের নেতা ফোন কিয়া শিন ফিরে আসার পর এই এলাকায় সংঘর্ষ বেড়েছে।
২০০৯ সালে মিয়ানমারের সেনাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি ২০০৯ সালে চীনে চলে যান।
সান ও কোচিন রাজ্যে শায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে উপজাতি বিদ্রোহীদের সহিংস আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশক ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে মিয়ানমার সরকার। শান্তি চুক্তির লক্ষে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী নাইপিদোতে কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।