মাত্র ১০ দিন যুদ্ধ করতে পারবে ভারত!
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভাণ্ডারে যথেষ্ট পরিমাণ গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র মজুদ নেই। যে পরিমাণ গোলাবারুদ মজুদ আছে তা দিয়ে বড়জোর ১০ দিন যুদ্ধ চলতে পারে।
গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
সংসদে উপস্থাপন করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যথেষ্ট পরিমাণে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র মজুদ নেই। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ করার সামর্থ্য নেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর। বর্তমানে যে পরিমাণে গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে, তা যুদ্ধের সময় বড়জোর ১০ দিনের চাহিদা মেটাতে পারে।
প্রতিবেদনে সিএজি জানায়, যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে অন্তত ৪০ দিন চলার মতো অস্ত্র মজুদ থাকা উচিত। যদিও সেনাবাহিনী তা কমিয়ে ২০ দিনে এনেছে। তা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যেসব গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে তাতে ১০ দিনের বেশি চলবে না। গত কয়েক বছরে এই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনও ঘটেনি।
বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে। সেই মুহূর্তে সিএজির এই প্রতিবেদন রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৩ সালেই সিএজি এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভাণ্ডারে গোলাবারুদ অনেক কমে গেছে বলে সতর্ক করেছিল। পরের আরেকটি প্রতিবেদনেও একইভাবে সতর্ক করা হয়। এমনকি অস্ত্রশস্ত্রের গুণগত মান নিয়েও সেই সময় প্রশ্ন তোলা হয়।
বলা হয়, সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী ৯০ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার কথা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলোর। সেখানে বহুক্ষেত্রেই বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেনা হচ্ছে। এর উপর ২০০৯ সাল থেকে অস্ত্রশস্ত্র সংরক্ষণ বন্ধ রয়েছে।
সিএজির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৩ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ দিয়েছিল সাড়ে ১৬ হাজার কোটি রুপি। সেই সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্রের ঘাটতি মেটাতে এই বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় বাজেটে ২০১৯ সালের মধ্যে এই ঘাটতি পূরণ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই ঘাটতি পূরণ হয়নি।
ভারতের সামরিক বাহিনী ১৫২ ধরনের গোলাবারুদ ব্যবহার করে। যার মধ্যে আবার ৫৫ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্রের গুণগত মান ঠিক নেই। এ ছাড়া ভারতের সামরিক বাহিনীর হাতে গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি, ট্যাঙ্ক ও আর্টিলারের সংখ্যাও কমে গেছে।