গত দুই দশকের রীতি ভেঙে এ বছর রমজান মাসে কোনো ইফতার বা ঈদের অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। ১৯৯৯ সাল থেকেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রমজানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আসছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্ম ও আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিভাগের পক্ষ থেকে টিলারসনকে ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা হয়। তবে কেন টিলারসন এ সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানা যায়নি।

১৯৯৯ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপদস্থ কেউ ইফতার বা ঈদের অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ছাড়া বিদেশি অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিও পালন করেছেন এই দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করা হয়। তবে ইফতার ও ঈদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিসহ দেশটির কংগ্রেস সদস্য,  মুসলিম দেশের কূটনীতিক ও মুসলিম নেতারা। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এত জাঁকজমকভাবে পালন করা হয় উৎসবটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ উদযাপনের জন্য মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করা হয়।’

স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বক্তৃতায় টিলারসন বলেন, ‘রমজান শ্রদ্ধা, উদারতা ও স্ব-প্রতিফলনের মাস। আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটা বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে থাকা ও কম ভাগ্যবানদের সাহায্য করার সময়।’