কী হলো ব্যাটসম্যান সাকিবের?
এ মুহূর্তের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বরাবরই ব্যাটে-বলে সমান পারদর্শিতা দেখিয়ে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু এবারের আইপিএলে বেশ নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছেন সাকিব। বল হাতে কিছুটা সাফল্য পেলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রতিটি ম্যাচেই।
আইপিএল শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য ভালো নৈপুণ্যই দেখিয়েছিলেন সাকিব। সাতটি ম্যাচে করেছিলেন ১২৯ রান। তিনটি ম্যাচে ছিলেন অপরাজিত। খেলেছিলেন একটি অর্ধশতকের ইনিংস। কিন্তু আইপিএলে ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যেই পড়েছেন ব্যাটসম্যান সাকিব।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব জায়গা করে নিতে পারেননি প্রথম একাদশে। পরের চারটি ম্যাচে মাঠে নামলেও জ্বলে উঠতে পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামতে হয়নি ব্যাট হাতে। পাঞ্জাব ও পুনের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমেছিলেন চার নম্বরে। একটি ম্যাচে করেছেন ১৫ বলে ১১ রান। আরেকটি ম্যাচে আউট হয়েছেন ৯ বলে ৩ রানের ধীর ইনিংস খেলে। বৃহস্পতিবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে সাকিব খেলেছেন তিন নম্বরে। দলের ভালো শুরুর পর লম্বা ইনিংস খেলার ভালো সুযোগ ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে। হার্দিক পান্ডের বলে একটি চার মেরে শুরুটাও ভালোভাবে করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ৬ রান করে সেই ওভারেই আউট হয়ে গেছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিন ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সাকিব করতে পেরেছেন মাত্র ২০ রান।
বল হাতে অবশ্য নিজের কাজটা ভালোমতোই করে যাচ্ছেন সাকিব। প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের রেখেছিলেন চাপের মুখে। পরের দুটি ম্যাচে সাকিব পেয়েছেন একটি করে উইকেট। রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে তিন ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন একটি উইকেট।
আইপিএলে সাকিব সবচেয়ে সফল মৌসুম কাটিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। সেবার ১১ ইনিংসে ব্যাটিং করে করেছিলেন ২২৭ রান। তাঁর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সও সেবার জিতেছিল দ্বিতীয় শিরোপা।