বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘যতই থ্রেট থাক, আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’

urgentPhoto

আজ দুপুরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে টেররিস্ট অ্যাক্টিভিটির জন্য কোনো ক্রিকেট দল খেলতে আসতে পারবে না, এটা আমি কোনোভাবেই মানতে পারি না।’

নাজমুল হাসান আরো বলেন, ‘রোববার বিকেল থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিকিউরিটি যাঁরা দেখেন– পুলিশ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিএফআই, এনএসআই, র‍্যাব এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা-সবার সঙ্গে দেখা করেছি। প্রত্যেকেই নিশ্চয়তা দিয়েছেন, আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি আমরা এটা এনশিউর করব যে এখানে কোনো প্রকার গণ্ডগোল হবে না। যতই থ্রেট থাক, আমরা এনশিউর করছি।’

সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই আশ্বাসের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারলকে ভিভিআইপি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

কিন্তু সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস পেলেও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সফর নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি; বরং সোমবার গভীর রাতে ক্যারলের হঠাৎ করেই ঢাকা ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়া দুই টেস্টের সিরিজকে ঘিরে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো ই-মেইলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) এক মুখপাত্র বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গতকাল (সোমবার) বৈঠকের পর আমাদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারল, দলীয় ম্যানেজার গ্যাভিন ডাভি ও দলের নিরাপত্তাবিষয়ক ম্যানেজার ফ্র্যাংক ডিমাসি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা দিয়েছেন। দেশে ফিরে তাঁরা (অস্ট্রেলিয়ার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকে সফর নিয়ে আলোচনায় বসবেন।’

সবকিছু ঠিক থাকলে গতকাল সোমবার ঢাকায় আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। কিন্তু ঢাকার মাটিতে পা রাখার মাত্র দুদিন আগে সিএর ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি’র কারণে অস্ট্রেলীয় সরকার স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন টেস্ট দলকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক বিভাগ (ডিফ্যাট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত অস্ট্রেলীয়দের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা।’

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৯ অক্টোবর থেকে এবং মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৭ অক্টোবর থেকে দুটি টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে ৩ অক্টোবর ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার।