ইতিহাস গড়া হলো না সেরেনার
মেয়েদের এককে কোনো গ্র্যান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তও আসতে পারেননি রবার্তা ভিঞ্চি। এবার প্রথমবারের মতো উঠে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। সেখানে প্রবল প্রতিপক্ষ ছিল এ বছরের তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাজয়ী সেরেনা উইলিয়ামস। তাঁকে টপকে যে ফাইনালে উঠতে পারবেন, এটা ভাবতে পারেননি ভিঞ্চি নিজেও। আগেভাগেই কেটে রেখেছিলেন দেশে ফেরার টিকিট। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সেরেনাকে হারানোর পর এবার অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ৩২ বছর বয়সী ভিঞ্চিকে।
মেয়েদের এককে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জনের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলেন সেরেনা। বছরের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের পর চলে গিয়েছিলেন ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালেও। প্রথম সেটটা জিতে শুরুও করেছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু তার পরই টেনিস বিশ্বকে বিস্ময় উপহার দিয়ে পরবর্তী দুটি সেট জিতে নিয়েছেন ভিঞ্চি। ২-৬, ৬-৪, ৬-৪ গেমের জয় দিয়ে চলে গেছেন ফাইনালে। আর খুব কাছাকাছি এসেও ইতিহাস না গড়তে পারার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে সেরেনাকে। সেমিফাইনালে অঘটনের শিকার হওয়ার পর নিজের হতাশাও লুকাতে পারেননি মেয়েদের এককের শীর্ষ এই তারকা। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরও উত্তর দিতে চাননি। বলেছেন, ‘এই হারটা আমার জন্য কতটা হতাশাজনক সেটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।’
এ বছরে ৫৬টি ম্যাচ খেলে এটি ছিল সেরেনার মাত্র তৃতীয় হার। তাও এমন একজনের কাছে যে জীবনে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিল কোনো গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে। ভিঞ্চির বিপক্ষে এর আগের চারটি মুখোমুখি লড়াইয়েও সেরেনা পেয়েছিলেন সরাসরি সেটের জয়। সেরেনা যে চরম হতাশ হবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।
ইউএস ওপেনের ফাইনালে ভিঞ্চির প্রতিপক্ষ আরেক ইতালিয়ান ফ্লাভিয়া পেনেত্তা। অপর সেমিফাইনালে রোমানিয়ার সিমোনা হালেপকে ৬-১, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন তিনি। দুই ইতালিয়ান টেনিস তারকাই প্রথমবারের মতো উঠেছেন কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে। ফলে ফাইনালে যেনিই জয়ী হোন না কেন, ইউএস ওপেন পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।