মাঠে মারা যেতে পারেন আম্পায়ার!
১৯৯৮ সালে শর্ট লেগে ফিল্ডিং করার সময় বলের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা। গত বছর ব্যাটিং করার সময় বলের আঘাতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের মৃত্যুশোক এখনো ভুলতে পারেনি ক্রিকেট বিশ্ব। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে আম্পায়াররাও এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটরক্ষক রড মার্শ।
বোলারদের নো বল পর্যবেক্ষণের জন্য আম্পায়াররা স্টাম্পের যত কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন, সেটাই বিপদ ডেকে আনবে বলে মনে করছেন মার্শ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মারমুখী ব্যাটিংয়ের যুগে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাট চালান তাতে আম্পায়াররা খুব বেশি নিরাপদ নন বলে মত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি উইকেররক্ষক। এমসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেটে কাউড্রি বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, ‘প্রথম শ্রেণির বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো আম্পায়ারের মারা যাওয়া বা গুরুতর আহত হওয়া এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। আপনি নিজেকে আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড় করান আর চিন্তা করেন যে কোনো ব্যাটসম্যান যদি জোরালো স্ট্রেট ড্রাইভ করে বুক বরাবর, তাহলে কী হতে পারে।’ বোলাররা নো বল করছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য আম্পায়াররা স্টাম্পের যত কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাতে ব্যাটসম্যানের সে রকম জোরালো শট থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আম্পায়াররা যথেষ্ট সময় পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মার্শ। নিজে আম্পায়ার হলে বেসবল খেলার হেলমেট, চেস্ট প্যাড, গার্ড পড়তেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বর্তমানে নো বলের যে নিয়ম আছে তাতে একটু পরিবর্তন করলেই আম্পায়াররা আরেকটু পেছনে এসে দাঁড়ানোর সুযোগ পেতে পারেন। আর এখন আম্পায়াররা স্টাম্পের পেছনে যে অবস্থানে দাঁড়ান তার চেয়ে অন্ততপক্ষে দুই মিটার দূরে দাঁড়াতে পারলেই অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
দীর্ঘদিন ধরে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা রব বেইলি মার্শের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘অনেক মানুষ এখন বিপদের মুখে আছে। এখনকার ব্যাটগুলো আরো বড় হয়েছে। তার সেগুলো অনেক শক্তিশালীও হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা বলে আরো জোরালোভাবে মারতে পারেন। আমাদের সৌভাগ্য যে কেউ গুরুতর আঘাত পাননি।’