বাংলাদেশের সামনে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জ

আগের দিনই মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন টস জয়ই নাকি অনেকটা গড়ে দেবে ম্যাচের ভাগ্য। সে ভাগ্য অবশ্য প্রসন্ন হয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষেই। টস জিতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। তবে শুরুর সাফল্য মিইয়ে গেছে শেষের অপরিকল্পিত বোলিংয়ে। নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত গড়েছে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের সংগ্রহ। শতকের আফসোসে পুড়েছেন রোহিত শর্মা। ইনিংসের শেষ বলে ভারতীয় অধিনায়ক রানআউট হয়ে ফিরেছেন ৮৯ রানে।
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে শুরুটা সতর্কতার সাথেই করেছিল রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান। তাতে ফলও মিলেছে।উদ্বোধনী জুটিতেই ভারতীয় দল পেয়েছে ৭০ রান। প্রথম ৯ ওভারে কোনো উইকেটই হারায়নি ভারত। তবে দশম ওভারে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে শিখর ধাওয়ানের উইকেট ভেঙে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। ২৭ বলে ৩৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন ধাওয়ান।
বাকি পথটা রায়নাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান দলপতি। এর মাঝে তুলে নিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের ১৪তম অর্ধশতক। অর্ধশতক তুলে নিয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শতকের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন দলনায়ক। অবশ্য শতক থেকে ১১ রান আগেই থামতে হয় রোহিতকে। ৬১ বলে সমান পাঁচ চার আর পাঁচ ছয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলনায়কের সঙ্গে রায়না স্কোরকার্ডে তুলেছিলেন ১০২ রান। রোহিত শতকের দেখা পেলেও রায়না পাননি অর্ধশতক। ফিরেছেন ৩০ বলে ৪৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র রুবেল হোসেনই দেখা পেয়েছেন উইকেটের। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সাথে ডানহাতি পেসারের ঝুলিতে গেছে দুই উইকেট।
এর আগে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে এসেছে একটি পরিবর্তন। টানা কয়েক ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া তাসকিন আহমেদ ছিটকে পড়েছেন দল থেকে। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি।
বাংলাদেশের মতো ভারতও মাঠে নামছে একটি পরিবর্তন নিয়ে। পেসার জয়দেব উনাদকাটের বদলে দলে এসেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। মাঠে নামা তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানেই রয়েছে ভারত।
কলম্বোতে মাঠে নামার আগে তাই বাংলাদেশের চোখ একখানেই। মাহমুদউল্লাহরা নিশ্চিতভাবে নজরটা দেবেন টি-টোয়েন্টির মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দিকেই। সঙ্গে ফাইনাল খেলতে জয়টা এগিয়েও দেবে বাংলাদেশকে। অন্যথায়, ১৮ মার্চের ফাইনালটায় বাংলাদেশের দর্শক বনে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৩ (রোহিত ৮৯, রায়না ৪৭, ধাওয়ান ৩৫। রুবেল ২৭/২, রনি ৪৩/০, মুস্তাফিজ ২৭/০)।