গেইলের দ্বিতীয় শতকে পিষ্ট ঢাকা
তাঁর ব্যাট যেদিন চলে সেদিন তিনি রাজা আর বাকি সবাই প্রজা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ক্রিস গেইলের মতো ব্যাটসম্যান আর একজনও নেই। এবারের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে ফাইনালে উঠিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। এতেই ক্ষান্ত হননি গেইল, ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে পুরো বিপিএলটাই নিজের করে রাখলেন তিনি।
বিপিএলের ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে গেইলের রংপুর। প্রথম কয়েকটা ওভার চুপচাপ ছিলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। অন্যপ্রান্তে জনসন চার্লসকে হারায় রংপুর। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতেই ১২-১৫ বল লেগে যায় তাঁর। এর পরই শুরু হয় গেইল বিস্ফোরণ। ৩৩ বলে আসে দিনের হাফ সেঞ্চুরিটি। সৈকত, খালেদ আহমেদ, আবু হায়দার রনিদের মতো অখ্যাতদের বেছে নেন গেইল। আজ শহীদ আফ্রিদি, সুনিল নারাইনদের মতো বোলারদেরও ছাড় দেননি তিনি। অন্যপ্রান্তে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ম্যাককালাম। ৫৭ বলে ১১টি ছয় ও চারটি চারে পূর্ণ করেন গেইল। কোনো টি-টোয়েন্টি আসরের ফাইনালে এটিই গেইলের প্রথম শতক। গেইলের ক্যারিয়ারে এটি ২০তম শতক।
এর আগে এলিমিনেটর পর্বেও ঝড় তোলেন গেইল। সেদিন ২৫ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। অন্যপ্রান্তে দুজন সতীর্থ হারালেও গেইল খেলেন নিজের মতো। ২৩ বলে তুলে নেন আসরের তৃতীয় অর্ধশতক। বাকি পঞ্চাশ রান করতে খেললেন আরো ২২ বল। ১০টি অতিকায় ছক্কা আর ছয়টি চারে বিপিএলে নিজের চতুর্থ শতক পূর্ণ করলেন এই ক্যারিবীয় রান-দস্যু। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরের প্রথম শতকটিও আসে গেইলের ব্যাট থেকে।