বিপিএলের নতুন আবিষ্কার আরিফুল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) দেশের ক্রিকেটের বড় আশীর্বাদই বলতে হবে। প্রতি বছর এই আসর খেলে কেউ না উঠে আসছেন বড় মঞ্চে। আবু হায়দার রনি, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদের মতো ক্রিকেটার উঠে এসেছেন এই আসর খেলে। এবার কি তাহলে আবু জায়েদ রাহি, আরিফুল হক, মেহেদী হাসানদের পালা?
এবারের আসরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন আরিফুল হক। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তুলে আলোচনায় উঠে আসেছেন এই ব্যটিসম্যান। এবারের আসরে খুলনা টাইটানসকে ম্যাচের পর ম্যাচ জিতিয়ে চলেছেন তিনি।
বিপিএলের এবারের আসরের প্রথম দুটি ম্যাচে কিছু করতে পারেননি আরিফুল। ভালো মতো সুযোগটা পান চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। ২৫ বলে ৪০ রান করে খুলনার সংগ্রহটা হৃষ্টপুষ্ট করতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন এই ক্রিকেটার।
চিটাগংয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে আবার দেখা যায় আরিফুল ঝড়। এই ম্যাচে করেন ২৪ বলে ৩৪ রান। স্কয়ার লেগ ও লং অনের ওপর দিয়ে মারা তিনটি ছয় অনেকদিন মনে রাখবে ক্রিকেট ভক্তরা। সেই ম্যাচেও জয় পায় খুলনা টাইটানস।
আজ মঙ্গলবার আরিফূল ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে যখন আসেন তখন ম্যাচটা প্রায় হেরে বসেছে খুলনা। ক্রিজে এসেই রাজশাহীর বোলারদের ওপর পাল্টা আঘাত হানেন তিনি। ১৯ বলে ৪৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে হেরে বসা ম্যাচটাতে খুলনাকে জিতিয়ে দেন এই ব্যাটসম্যান।
শেষ ওভারে ডোয়াইন স্মিথের বলটাকে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারেন এক বিশাল ছয়। পরের বলে স্কুপ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লার কণ্ঠে ঝড়ল আরিফুল বন্দনা। তিনি বলেন, ‘অসাধারণ ব্যাটিং করেছে আরিফুল। সে আমাদের দলের ব্যাটিং গভীরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
বিপিএলে আরিফুল নামটি নতুন হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু বেশ পরিচিত এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২৩ দলে খেলেছেন। খেলেছেন বরিশাল বিভাগীয় দলের হয়েও। গত জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছেন রংপুরের হয়ে। ঢাকার বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরিও করেন আরিফুল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬টি শতক ও ২০টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে এই ব্যাটসম্যানের। বল হাতেও বেশ কার্যকর এই মিডিয়াম পেসার।