দশে দশ হলো না ভারতের
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল তাঁরা। তবে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে কখনই টানা দশটি ওয়ানডে জিততে পারেনি ভারত। এবার সুযোগ ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে জিতলেই দুর্দান্ত সেই রেকর্ডটা ছোঁয়া হতো কোহলিদের। তবে ভারতকে সেই রেকর্ডটা গড়তে দিলেন না ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। এই দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ভারতকে ২১ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ফলে সিরিজে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল সফরকারীরা।
ওয়ানডেতে টানা দশটি ম্যাচে জয়ের রেকর্ড রয়েছে সাত দেশের। অস্ট্রেলিয়াই সেটি করে দেখিয়েছে সাতবার। এরপর রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচবার টানা দশটি ওয়ানডে জিতেছে প্রোটিয়ারা। দুবার করে রেকর্ডটি রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের। একবার এই রেকর্ড ছুঁয়েছে নিউজিল্যান্ডও। ক্রিকেটের এলিট সেই ক্লাবে নাম লেখাতে ব্যর্থ হলো ভারত। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর এই প্রথম হারের স্বাদ পেল কোহলিরা। এদিকে ওয়ানডেতে আট ম্যাচ পর প্রথম জয়ের মুখ দেখল অস্ট্রেলিয়া। এ বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানকে হারানোর পর টানা আট ম্যাচে জয়হীন ছিল স্টিভেন স্মিথের দল। এর মধ্যে অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট ৩৩৪ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৮ উইকেটে ৩১৩ রান তুলেই থামতে হয় ভারতকে। এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১১৯ বলে ১২ চার ও চারটি ছক্কায় ১২৪ রান করেন ওয়ার্নার। এটি ছিল ওয়ার্নারের শততম ওয়ানডে ম্যাচ। ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচে সব মিলিয়ে অষ্টম ও প্রথম অসি ব্যাটসম্যান হিসেবে শতক তুলে নেন অসি ওপেনার।
এর আগে এমন রেকর্ড রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ-ক্রিস গেইল- রামনরেশ সারওয়ান, নিউজিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্নস, পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও ইংল্যান্ডের মার্কাস ট্রেসকথিকের।
ওয়ার্নারের মাইলফলকের ম্যাচে। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি-বঞ্চিত হয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এই ম্যাচে করেন ৯৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ট্রেভিস হেড ২৯, ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব করেন ৪৩ রান। ভারতের উমেশ যাদব নেন চারটি উইকেট।
বড় রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জয়ের কক্ষপথেই ছিল ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর আজিঙ্কা রাহানে যোগ করেন ১০৬ রান। ৫৩ রান করে ফিরে যান রাহানে। এরপর দ্রুতই ৬৫ রান করা রোহিত ও ২১ রান করা কোহলি ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় ভারত। তবে হার্দিক পান্ডিয়া (৪১) ও কেদার যাদবের (৬৭) ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। তবে শেষের দিকে অসি বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২১ রানে হারতে হয় কোহলিদের। অস্ট্রেলিয়ার কেন রিচার্ডসন তিনটি, এ ছাড়া নাথান কোল্টার নাইল নেন দুটি উইকেট।