উপেক্ষার জবাবটা দিতে পারলেন না মুমিনুল
অভিষেকের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলে নিয়মিত মুখ মুমিনুল হক। অভিষেকেই করেন ৫৫ রান। এরপর ১২ টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। টানা ১১ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে নিজেকে দাঁড় করান ভিভ রিচার্ডস, বীরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভীরের মতো ব্যাটসম্যানদের কাতারে। তবে এরপরই কিছুটা বিবর্ণ হয়ে যান মুমিনুল। পরের ১০ টেস্টে একটিও সেঞ্চুরি নেই তাঁর। হাফসেঞ্চুরি রয়েছে চারটি। ফলে গড়টাও নেমে আসে পঞ্চাশের নিচে। ফলে এই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়ে যান।
ঘরোয়া ক্রিকেটসহ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করে আবার টেস্ট দলে জায়গা করে নেন তিনি। প্রথম টেস্টের দলে অবশ্য উপেক্ষা করা হয় তাঁকে। তবে পেসার শফিউলের জায়গায় আবার দলে ফেরেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বেশ দৃঢ়তা দেখাচ্ছিলেন মুমিনুল। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করে ত্রিশের কোটা পার করেন তিনি। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলেন না, নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে মুমিনুলকে মূলত নিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে সুযোগ পেয়েও বড় কোনো সাফল্য পাননি ২২ টেস্টের ক্যারিয়ারের ১৫ বার পঞ্চাশোর্ধ্বে ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এ ম্যাচে মুমিনুল ৩১ রান করেন ৬৭ বলে। বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৪৯ ও সাকিব আর হাসানের ১৫ রানের দুটি জুটি ভালো কিছুর আভাস দিয়েও ছিলেন। কিন্তু এই ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারলেন না এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। পারলেন না উপেক্ষার জবাবটা দিতে।