এক ম্যাচে এতগুলো বিশ্বরেকর্ড!
আইসিসি ক্রিকেট লিগের এশিয়া অঞ্চলের খেলায় চীনকে ৩৯০ রানে হারিয়েছে সৌদি আবর। প্রথমে ব্যাটিং করে মোহাম্মদ আফজালের ১২০ ও অধিনায়ক শোয়েব আলীর ৯১ রানে ভর করে ৪১৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় সৌদি আবর। জবাবে মাত্র ২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় চীন।
এই একটি ম্যাচে অনেকগুলো বিশ্বরেকর্ড দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর বাইরে ওয়ানডে ম্যাচে এত বেশি রান করার রেকর্ড নেই কোনো দলের। এর আগে আইসিসি ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় বিভাগে ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪১২ রান করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ক্রিকেট বিশ্বে এত বেশি রানে হারের রেকর্ডও আর নেই। ১৯৯০ সালে ডেভনকে ৩৪৬ রানে হারিয়েছিল সমারসেট। সেই ম্যাচে সমারসেটের ৪১৩ রানের জবাবে ডেভন করেছিল মাত্র ৬৭ রান। ক্রিকেটের মাঠে তিনশোর্ধ্ব রানে হারের ঘটনা ঘটেছে আর মাত্র একবার। ১৯৯৬ সালে আয়ারল্যান্ডকে ৩০৪ রানে হারায় সাসেক্স।
আজ মাত্র ২৮ রানে অলআউট হয় চীন। ক্রিকেটে এর চেয়ে কম রানে আর কোনো দেশ অলআউট হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম (৩৫) রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারেতে এই লজ্জার রেকর্ড গড়ে জিম্বাবুয়ে।
তবে লিস্ট-এ ক্রিকেট চীনের লজ্জা কিছুটা হলেও ঢেকেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব ১৯ দল শ্রীলঙ্কার সারাসেন ও ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব মিডলসেক্স। ২০০৭ সালে বার্বাডোসের বিপক্ষে মাত্র ১৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই দলে ছিলেন কাইরন পাওয়েল, ড্যারেন ব্রাভো, ডেভন থমাস, বীরাসামি পারমলের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়ার ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মাত্র ১৯ রানে অলআউট হয় সারাসেন।
তবে ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি এখনো অনেক দূরে। ১৮১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৪ রানে অলআউট হয় বিএস।
আজ সৌদি আরবের বিপক্ষে চীনের সাতজন ব্যাটসম্যান কোনো রান করতে পারেননি। ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো দেশের সবচেয়ে বেশি ‘ডাক’ খাওয়ার বিশ্বরেকর্ড এটি। এর আগে পাকিস্তানের তিনবার, একবার করে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয়জন করে ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন।