ব্যর্থ তামিম-সাকিব, হারল পেশোয়ার
বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৬ বলে ১৮ রান করলেন সাকিব আল হাসান। আর বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে মাত্র ১৬ রান করলেন তামিম ইকবাল। দুই বাংলাদেশি তারকার সঙ্গে ইয়ন মরগান ও শোয়েব মাকসুদরাও ব্যর্থ হলে করাচি কিংসের কাছে ৯ রানে হেরেছে পেশোয়ার জালমি। প্রথমে ব্যাট করে শোয়েব মালিকের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ২০ ওভারে ১৭৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে করাচি কিংস। জবাবে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও শহীদ আফ্রিদির ২৮ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসও জেতাতে পারেনি পেশোয়ারকে।
শারজায় পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) করাচির দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তামিম ইকবাল ও কামরান আকমলের জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় পেশোয়ার। দলীয় ৩২ রানে কামরান আকমল ও একই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন তামিম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। পরের ওভারে ইফতেখার আউট হলে বিপদ ঘনীভূত হয়। দ্রুতই ইয়ন মরগান ও শোয়েব মাকসুদ আউট হলে হারটা নিশ্চিত হয়ে যায় পেশোয়ারের। তবে দর্শককে বিনোদিত করতে ব্যাট হাতে উদ্ধত রূপ ধরেন শহীদ আফ্রিদি। ২৮ বলে ৫৪ রানের ‘বুম বুম’ ইনিংস খেলেন পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন আফ্রিদি। অন্যদিকে ড্যারেন সামিও দুর্দান্ত খেলেন। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৭০ রান তুলে পেশোয়ারের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাঁরা। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে স্যামি ও শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আফ্রিদি আউট হলে ৯ রানের হার রনিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম-সাকিবরা।
এর আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে করাচি। উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তুলে নেন বাবর আজম ও কুমার সাঙ্গাকার। শেষ পর্যন্ত উইকেট মুখের দরজাটা খোলেন সাকিব। ৩৮ বলে ৪৬ করা বাবরকে তুলে নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর সাঙ্গাকারা (২৮) ও গেইলকে ফিরিয়ে দেন ইফতেখার আহমেদ। তবে শেষের দিক শোয়েব মালিকের ২৭ বলে ৫১ ও রবি বোপারার ২০ বলে ৩০ রানে ভর করে ১৭৪ রান তোলে করাচি।