অনিমেষ আইচের অজানা আট
অনিমেষ আইচ জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র নিমার্তা। ছোট বেলায় অনেক শান্ত স্বভাবের ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা তাঁকে ডাকতেন ‘পারু’।কেন ডাকতেন? এ কথা জিজ্ঞেস করতে অনিমেষ আইচ বলেন ‘এ ডাকের রহস্য অনেক। এখনই সেটা বলতে চাই না।’ অনিমেষ আইচের এ রকম আটটি অজানা তথ্য জেনে নিতে পারেন এখনই।
১. অনিমেষ আইচ চিত্রনাট্য লেখার পর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চুল কেমন হবে ছোট না লম্বা, পোশাক কেমন হবে সেটা নিয়ে অনেক চিন্তা করেন। তারপর গল্পের সঙ্গে কল্পনা করে শিল্পীদের চুল ও পোশাকের ছবি আঁকেন। পোশাকের রঙও নির্বাচন করেন তিনি। তারপর আঁকা ছবিগুলো কোরিয়োগ্রাফারকে দেখান।
২ অনিমেষ আইচের ডাক নাম রানা। বাসার সবাই তাঁকে রানা নামে ডাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা তাঁকে ডাকেন ‘পারু’। কেন পারু নামে ডাকেন? এই রহস্য এখনো ভাঙেননি অনিমেষ আইচ।
৩ মেঘবতী, শন্ডা, জোজো অনিমেষ আইচের তিন পোষা বিড়াল। তাদের তিনজনকে পরিবারের সদস্য মনে করেন তিনি।
৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় চুল বড় রাখতেন অনিমেষ আইচ। গত বছর কলকাতায় গিয়ে চুল কেটে এসেছেন তিনি। চুল বড় করার আর সম্ভাবনা নেই তাঁর।
৫ সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় অনিমেষ আইচ প্রচুর ছবি আঁকতেন। টুকটাক গানও গাইতেন তিনি। পাড়ার বন্ধুরা ও ভাইবোন মিলে নিজ বাড়িতে একটা দেয়াল পত্রিকা করেছিলেন অনিমেষ। দেয়াল পত্রিকাটির নাম ছিল ‘ময়ূরাক্ষী’। অনিমেষ আইচের বড় ভাই পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন। ‘ময়ূরাক্ষী’ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবাই মিলে বাড়িতে একটি পাঠাগার বানান। বন্ধুরা মিলে সেই পাঠাগারে পড়াশোনা করতেন।
৬ ক্লাস টুতে পড়ার সময় ‘দৈনিক আলামীন’ পত্রিকায় অনিমেষ আইচের লেখা প্রথম ছড়া ‘ম্যাকগাইভার’ প্রকাশিত হয়। এখনো নিয়মিত লিখেন তিনি। খুব শিগগির বই আকারে লেখাগুলো প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে তাঁর।
৭ অনিমেষ আইচ সকালে চিত্রনাট্য লিখেন। রাতে তিনি লেখালেখি করেন না। ‘আঙ্গুরলতা’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন শখের বসে। এই বিষয়ে অনিমেষের ভাষ্য ‘অভিনয় কীভাবে করে, এর স্বাদ কী রকম, এটা জানার জন্য অভিনয় করেছি।’ ‘রানওয়ে’ চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।
৮ ‘গরম ভাত অথবা নিছক ভুতের গল্প’- এই নাটকের চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ। আর এই চিত্রনাট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পাঠ্যসূচিতে।