‘আমি নিজের সম্পর্কে অবসেসিভ নই। আমি মনে করি, জীবনে চলার পথে কিছুটা ক্যালকুলেশন আর কিছুটা আবেগ নিয়েই চলা উচিত। তবে তাই বলে বেশি ক্যলকুলেটিভ হওয়াটাও আমার কিন্তু পছন্দের নয়।’ সংবাদমাধ্যমের কাছে এভাবে আগামী দিনে নিজের চলার পথের পরিকল্পনার কথা জানালেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বলিউডের এই উঠতি অভিনেত্রীকে অনেকেই বলেন, বয়েস কুড়ির ঘরে হলেও নাকি তাঁর মানসিক বয়স তিরিশ! মানসিকভাবে নাকি তিনি অনেক পরিপক্ব!

আলিয়া নিজেও পরিপক্ব হওয়ার বিষয়টি জানেন। তিনি বলেন, ‘জন্মগত কারণে, জিনঘটিত কিছু হলেও হয়ে থাকতে পারে হয়তো। তবে এ কথা ঠিক যে, আমার বাবা মহেশ ভাটের কিছু প্রভাব আমার মধ্যে কাজ করে। যেটা সচেতনভাবে না হলেও করে। কেউ কেউ হয়তো আমার মধ্যে সেই প্রভাবটাই লক্ষ্য করে থাকেন। তবে আমার মধ্যে অনেকে মেন্টাল এজ তিরিশ দেখলেও, আই অ্যাম অ্যাকচুয়ালি রিয়্যালি ইয়ং। সেটাই সত্যি। আর আমি আমার যাবতীয় কাজের ভাবনা ও পরিকল্পনা সবসময় আমার নিজের মতোই করি। আসলে আমার ভেতর থেকে আমার যেটা করা উচিত বলে মনে হয়, আমি ঠিক সেটাই করি। আগামী দিনে অভিনয়ের বৈচিত্র্যে ঢুকে পড়াটাই আমার লক্ষ্য। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয়কে সমৃদ্ধ করতে চাই আমি।’

অভিনয়ের বিষয়ে পরিচালক করন জোহরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছেন বলেও জানান আলিয়া। করনকে মেনটর বললেও ভুল বলা হয় না, আলিয়া বলেন, ‘করন জোহরের কাছে থেকে আমি শিখেছি কীভাবে এবং কেমন মানুষের সঙ্গে কাজ করা উচিত। কতটা উষ্ণতা আর এনার্জি আমি দিতে পারি। এসব শিখতে হয়েছে আমাকে। আজকের আলিয়া ভাট হওয়া এবং কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা, আবেদন তৈরি করার বিষয়ে করন জোহরের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।’